খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৬: রাজধানীর কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িতদের দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ দাবি করেন এবং শিগগিরই এদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তবে এই দুজনের নাম-পরিচয় এবং তারা কোনো সাংগঠনের সদস্য কি না, সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলেনি।
গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াও এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব রাব্বী তনয়কে হত্যার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও আলামত পাওয়া গেছে।
একই সঙ্গে ডিএমপি কমিশনার এ-ও বলেছেন যে জুলহাজ ও মাহবুব জঙ্গিদের হাতে, নাকি আর্থিক কোনো ব্যাপারে খুন হয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে তিনটি গাড়ি হস্তান্তর উপলক্ষে ডিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তবে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশের পক্ষে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলো রোধ করা সম্ভব নয়। এসব হত্যাকাণ্ড তদন্তে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
গত সোমবার কলাবাগানের উত্তর ধানমন্ডির ৩৫ নম্বর বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জুলহাজ যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডিতে চাকরি করতেন। আর তাঁর বন্ধু মাহবুব একজন নাট্যকর্মী।
হামলার সময় বাধা দেওয়ায় বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী পারভেজ মোল্লাকেও কোপায় দুর্বৃত্তরা। পরে কলাবাগানের ডলফিন গলি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে তারা। এ সময় পুলিশের এক সদস্য মুমতাজ উদ্দিন দুর্বৃত্তদের একজনকে জাপটে ধরেন। তখন দুর্বৃত্তদের আরেকজন মুমতাজকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে সহযোগীকে ছাড়িয়ে নেয়। কয়েক মুহূর্তের এই ধস্তাধস্তির সময় খুনিদের একজনের একটি মুঠোফোন ও একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় পুলিশ। মুঠোফোন ছাড়াও ব্যাগে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নয় ধরনের আলামত পাওয়া যায়।
এরপর রাতেই কলাবাগান থানায় দুটি মামলা হয়। গতকাল মামলা দুটি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ডিএমপির গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানিয়েছেন।