Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

30খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৬: টি-টোয়েন্টির বাজে পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়তে দেননি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে। ব্রাদার্সের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচেই করেছিলেন ৭২। সেঞ্চুরি না পাওয়ায় সেদিন যদি কোনো অতৃপ্তি থেকেও থাকে মুশফিকুর রহিমের, সেটি দূর হয়ে গেছে আজ। বিকেএসপিতে তাঁর ১০৮ বলে ১০৪ রানের সৌজন্যেই ভিক্টোরিয়ার সামনে ২৪৮ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে মোহামেডান।
৩৫ রানে ২ উইকেট পড়ার পর ক্রিজে আসেন মুশফিক। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ৯ ওভারের মধ্যে দেখলেন আরও ২ উইকেটের পতন। ৬২ রানে ৪ উইকেট হারানো মোহামেডানের ঘুরে দাঁড়ানোর একটাই ভরসা ছিল—মুশফিক। অধিনায়ক সেই ভরসার মর্যাদা রেখেছেন ভালোভাবেই।
অবশ্য পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিকেরও ভরসা হয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফয়সাল হোসেন। ৫৮ বলে এক বাউন্ডারিতে ২৬ রান করেছেন। তার চেয়েও বড় কথা, ১০১ রানের জুটিতে অধিনায়ককে দিয়েছেন সময়োপযোগী সঙ্গ। শুরুর ওই বিপর্যয়ের পর ও রকম একটা জুটিই দরকার ছিল তখন।
৫৭ বলে ফিফটি, সেঞ্চুরি পেতে মুশফিক খেলেছেন আরও ৪৮ বল। চার বাউন্ডারির সঙ্গে পাঁচ ছক্কা, যার দুটিই মমিনুলের পরপর দুই ওভারে। পুরো ইনিংসেই আত্মবিশ্বাসী আর নিখুঁত ব্যাটিং, যা দেখে বোঝার উপায়ই ছিল না মাঝে কী দুঃসহ সময় পার করে এসেছেন। প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত হয়েই হয়তো সেঞ্চুরির পর আর ধৈর্যটা রাখতে পারেননি মুশফিক। ভিক্টোরিয়ার বাঁহাতি স্পিনার পিসি ডি সিলভার বলে ক্যাচ তুলে দিলেন নাদিফের হাতে। এক দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে নাদিফ কাভারে ক্যাচটাও নিয়েছেন দুর্দান্ত।
ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে অনেক হাততালি পেলেন মুশফিক। মুখটা তবু গম্ভীর। শতরানের উদ্যাপনটা তাই মাঠে ব্যাট তোলা আর আকাশের দিকে তাকিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকল। মনের গহিন কোণে হয়তো প্রতিজ্ঞা—সবে তো শুরু। যেতে হবে বহুদূর।