Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2খোলা বাজার২৪,শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৬: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘দেশে এখন চরম দুঃসময় চলছে। এই সরকার নিশ্চয়ই শেষ সরকার নয়। এ দেশে একদিন না একদিন সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই হবে। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না, বরং মানুষের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত সুনীল গুপ্তের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণ সভার আয়োজন করে ‘বাবু সুনীল গুপ্ত স্মৃতি সংসদ’।
আগামী দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডাকে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দুঃসময় বিদায় করার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃৃতি শুরু হয়েছে, এ অভিযোগ করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই।’
দেশবাসীকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, এ দাবি করে তিনি বলেন, ‘৮২ বছর বয়সি সাংবাদিক শফিক রেহমানকে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে, অথচ সাত খুনের আসামি নূর হোসেনকে রিমান্ডে নেওয়া হয় না। আমেরিকার আদালত সজীব ওয়াজেদ জয়ের অপহরণ মামলা আমলেই নেয়নি, অথচ এখানে সেই অভিযোগে তাকে জেলে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে।’
‘এটি শুধু দেশবাসীকে ভয় দেখানোর জন্য। এ দেশে ভয় দেখানোর সংস্কৃৃতি শুরু হয়েছে’, বলেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
দেশে চলমান সংকট থেকে উত্তরণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সংলাপের আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে সরকার আন্তরিক নয় বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘৮০০ কোটি টাকা চুরি হলো, অথচ কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। অর্থমন্ত্রী তো এ বিষয়ে এখন কিছুই বলছেন না। আবার বলেন, এই টাকা কোনো টাকাই না। অথচ ফিলিপাইন সরকার বাংলাদেশের টাকা উদ্ধারের জন্য বৈঠকের পর বৈঠক করে যাচ্ছে। আর আমাদের দেশে টাকা ফিরিয়ে আনতে বা কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে কোনো বৈঠক হয় না।’
প্রয়াত সুনীল গুপ্তকে স্মরণ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘তিনি একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ছিলেন। ১২ বছর একনাগাড়ে মন্ত্রী থাকার পরও বাড়ি-গাড়ি করেননি। জনগণের জন্য কাজ করেছেন। তিনি যে মন্ত্রী ছিলেন তা দেখলে বোঝা যেত না। সবসময় সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। তার মতো রাজনীতিবিদ এখন দেশে খুব প্রয়োজন।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, তারা কখনো ভাবেনি যে দেশের এই পরিস্থিতি হবে। এখন রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে। সংসদ সদস্যের হাতে পিস্তল থাকে। অধিকাংশ সময় তারা মদ্যপ অবস্থায় থাকে। দারোয়ান, কলেজের শিক্ষকসহ যেকোনো নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকা নেবে, এই হচ্ছে এখনকার সংসদ সদস্যের নমুনা।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আ ফ ম রশীদ দুলালের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ। সভা সঞ্চলনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন সরদার।