Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

17খোলা বাজার২৪,শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৬: ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাংলাদেশি ভিসা প্রার্থীদের। ভোগান্তি এখন এমন পর্যায়ে উঠেছে যে, এ নিয়ে বাংলাদেশি ভিসাপ্রার্থীরা জোট বেঁধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভেন্ট পেজ খুলে ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। তা ছাড়া তারা সংবাদপত্রে ই-মেইল বার্তা পাঠাচ্ছে। বার্তা পাঠাচ্ছে ভারতীয় দূতাবাসে। এদের একজন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ই-মেইল বার্তা দিয়েছেন।
এই ই-মেইল বার্তার ভাষাও প্রায় এক। এতে বলা হচ্ছে, আগে অনলাইনে ফরম পূরণ করে দিলে ৩-৪ দিনের মধ্যে দূতাবাসে সাক্ষাতের দিন পাওয়া যেত। গত বছর দুয়েক হলো নানানভাবে চেষ্টা করেও সাক্ষাৎ মেলে না। তবে সাক্ষাৎ পেতে একটি তৃতীয় পক্ষ গড়ে উঠেছে। যাদেরকে টাকা দিলে টোকেন মেলে। লাইনে দাঁড়ালে সাক্ষাৎ মেলে। এ টাকার পরিমাণ আড়াই হাজার থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। লাইনেও চলে দুর্নীতি।
ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশিদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। ভারত ভ্রমণে গড়ে উঠেছে অনেক ট্রাভেলিং এজেন্সিও। শুধু ভ্রমণ কেন? চিকিৎসা, আত্মীয়তা, টাকাওয়ালা বাংলাদেশিদের ঈদের বাজার, বিয়ের বাজার, মা-বাচ্চার জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর কেনাকাটাও হয় কলকাতা বা দিল্লি-মুম্বাইয়ে। এই সুযোগটিই কাজে লাগাতে গড়ে উঠেছে একটি কায়েমি গোষ্ঠী। বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণ নিয়ে এই গোষ্ঠীটি মোটা অঙ্কের অর্থ কামিয়ে নিতে তৎপর। বৈধভাবে তো বটেই অবৈধভাবেও মোটা অঙ্কের অর্থ চলে যাচ্ছে ভারতীয় দূতাবাস সংশ্লিষ্টদের হাতে। ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর সাথে জড়িত এমন অভিযোগ অবশ্য ই-মেল বার্তায় বলা হয়নি। দীর্ঘ দুই বছর ধরে যদি কোনো দুর্নীতি অব্যাহত থাকে এবং দায়িত্বশীলরা তা আমলে না নেয়, তাহলে এই সন্দেহই দানা বাঁধতে বাধ্য ‘ডালমে কুচ কালা হায়।’