Fri. Jun 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

21খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৬: মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অফিসার ও দাতা সংস্থা ইউএসএইডের কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান হত্যার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ফোনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, আজ জন কেরি যে কথা বলে, বিএনপি-জামায়াত একই কথা বলে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার বিকেলে এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি প্রস্তুত করতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, জন কেরি আমাদের শিক্ষা দেয়, শেখ হাসিনাকে ফোন করে বলে তাদের নাগরিক, বন্ধু জুলহাজ মান্নান হত্যাকাণ্ডের বিচার করুন। ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সময়, বিশ্বের জঘন্যতম ওই হত্যাকাণ্ড, যেখানে মা-শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল নির্মমভাবে; তখন জন কেরিরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশে খুনের রাজনীতির ইন্ধন দিয়েছিল।
তিনি বলেন, আজকেও আমেরিকায় অবস্থান করছে বঙ্গবন্ধুর ৩ জন খুনি। কিন্তু আপনারা তাদের এখনো হস্তান্তর করছেন না। এদের রাজনীতি হচ্ছে বাংলাদেশ যাতে সামনে এগিয়ে যেতে না পারে। এদের রাজনীতি হচ্ছে যেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত না থাকে। এরা বঙ্গবন্ধুকে বিপর্যস্ত করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে।
সেলিম বলেন, জুলহাজের খুনিরা যেই হোক না কেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা তাদের খুঁজে বের করবই। তাদের বিচার করব। কিন্তু দেশের জনগণকে বলব, ষড়যন্ত্রকারীদের কোনোভাবেই উৎসাহিত করবেন না। কারণ আমরা হত্যার ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করি না। সে রাজনীতি বঙ্গবন্ধুও করেননি, শেখ হাসিনাও করে না। আর বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তি যেন কোনোভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। যে যেখানেই কোনো ষড়যন্ত্র দেখবেন সাথে সাথেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাবেন।
সেলিম আরও বলেন, কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের একজন নেতাকেও হত্যা করা হয়েছে। জন কেরিরা সে কথা বলে না। তারা উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলে। এই জন কেরি, যখন কাদের মোল্লার ফাঁসি হয় তখনো প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন, ‘ফাঁসি না দিয়ে পারা যায় না’। আমার দেশে গণহত্যা করেছে, তাদের সমর্থনে সুপারিশ করে- এরা কারা? এদের ‘৭১-এর ভূমিকা মাথায় রেখে জনগণ যেন বিভ্রান্ত না হয়।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বাতিল করতে ব্যর্থ হয়ে প্রথমে মানুষ পোড়ালো। পুলিশ, শিক্ষক, সাধারণ মানুষ মেরে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে তারা পারেনি। পরে পেট্রলবোমা হামলা, বিদেশি নাগরিক হত্যা শুরু করে। যাতে করে বিদেশিরা আমাদের ওপর নাখোশ হয়, চাপ প্রয়োগ করে। এখন গুপ্তহত্যা চালানো হচ্ছে সুপরিকল্পিতভাবে। দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধীরা এসব করছে।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি জানিয়ে সেলিম বলেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তিন যুগ হচ্ছে এবার। আমরা আগামী ১৭ মে নেত্রীকে অভ্যর্থনা দেব। ওই দিন বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন প্রমুখ।