খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬: বায়োমট্রেকি-পদ্ধততি-েসমি-রজেস্ট্রিশেন – ঈড়ঢ়ুবায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধনের সময় কত বাড়ানো হচ্ছে, তা শনিবার বিকেল ৫টায় জানা যাবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভাকক্ষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার গ্রামীণফোন সার্ভিস সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে তারানা হালিম এ বিষয়টি জানান।
পরে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার প্রতিমন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে বিকেলে সার্ভিস সেন্টার পরিদর্শনকালে তারানা হালিম জানান, ১৩ কোটি সিমের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৩৮ লাখ সিম পুনর্নিবন্ধন করা হয়েছে।
এ সময় গ্রাহকদের ভোগান্তির বিষয়টিও স্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ১ কোটি ২২ লাখ গ্রাহকের সিম পুনর্নিবন্ধনের সময় ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সঙ্গে আঙুলের ছাপ মেলেনি। তবে যাদের আঙুলের ছাপ মেলেনি, তাদের সিম বন্ধ করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘অনেকের ন্যাশনাল আইডি কার্ডে জন্মতারিখসহ একাধিক ভুল রয়েছে। এ সমস্যার জন্য কাউকে অসুবিধায় ফেলব না। সরকারকে সহযোগিতার জন্য যারা এনআইডি অফিস ও মোবাইল অপারেটর সেন্টারে ঘুরছেন, তাদের ধন্যবাদ।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এনআইডি সার্ভার কখনো ডাউন ছিল না। এটা মোবাইল অপারেটরদের সমস্যা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এনআইডি সার্ভারের লোকরা মোবাইল অপারেটরদের সমস্যা এবং মোবাইল অপারেটররা এনআইডি সার্ভারের সমস্যা খতিয়ে দেখবে।’
যারা সিম পুনর্নিবন্ধন করেছেন, তাদের ‘দেশপ্রেমিক’ সম্বোধন করেছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শহরের মানুষের চেয়ে গ্রামের মানুষ বেশি সচেতন। রংপুর, গাইবান্ধা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকা ঘুরে কথা বলেছি। সবাই জানিয়েছেন, অনেক আগেই তাদের সিম পুনর্নিবন্ধন হয়ে গেছে।’
পরে তারানা হালিম আগারগাঁওয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অফিসে অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় এনআইডি অনুবিভাগের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালেহ আহমেদ, পরিচালক সৈয়দ মুহম্মদ মুসাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।