Fri. Jun 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

45খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সন্ত্রাসের দেশ না। এখানে সন্ত্রাসীদের কোন ঠাঁই হবে না। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।
তিনি আজ শনিবার বিকালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপি’র কয়েকজন উপদেষ্টা জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকায় জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সেখানে এ ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশে যারা এ ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিল তাদের নামে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশের গরীবের টাকা লুট করে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করবে তা হতে দেয়া যাবে না। এদেশের মাটিতে তাদের বিচার করা হবে।
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গাড়ি, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা পুড়িয়েছে। পুরোহিত ও শিক্ষকদের হত্যা করে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছিল। এভাবে সরকার উৎখাত করা যায় না। এখন আবার তারা দেশে গুপ্তহত্যা শুরু করেছে। পরিকল্পিতভাবে তারা এ গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত দেশের বিদ্যুৎ সেক্টর ধ্বংস করে দিয়েছিল। তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩ হাজার মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছিলো। আমরা ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা দেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে সব উপজেলায় সরকারি স্কুল-কলেজ নাই, সেখানে সরকারি স্কুল-কলেজ করা হবে। শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা ছেলে-মেয়েদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারেন। শিক্ষার্থীদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
ওই সব সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের প্রকৃত মানুষ হওয়ার আহবান ও জানান তিনি।
কৃষকদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকদের উন্নত সার ও বীজ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা ভাল ফসল ফলাতে পারেন। তাদের ১০ টাকা বিনিময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের কৃষি ‍ঋণ দেওয়া হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, এফবিসিসিআই-র সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মদ, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামাল, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে পৌনে ৩টায় কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর উদ্বোধন, ওই উপজেলার ১০০টি প্রাথমিক ও ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া বিতরণ করেন।
বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জ হ্যলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।