খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬: বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে শক্তিশালী অবস্থান নিলে সাধারণ জনগণও এটাকে স্বাগত জানাবে বলে উল্লেখ করেছে জাতীয় কর আইনজীবী সমিতি। এ ছাড়া রাজস্বের স্বার্থে কালোটাকা সাদা করা যাবে না। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। এ সময় সংগঠনটি বাজেট উপলক্ষে নানা ধরনের দাবি পেশ করে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দুঃখজনক হলেও সত্য যে দুর্নীতি দমনে প্রতিশ্র“তিবদ্ধ বর্তমান সরকার দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আশানুরূপ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বিগত সব সরকারের আমলের সব দুর্নীতিবাজ সাংসদ, মন্ত্রীদের ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হচ্ছে। এমনকি যাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে এসব দুর্নীতি বা কর ফাঁকির ঘটনা ঘটছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গৃহীত হোক।
সংগঠনটি তাদের দাবিতে উল্লেখ করে, আয়কর অধ্যাদেশে চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট দ্বারা বাধ্যতামূলক অডিট করার বিধি সন্নিবেশিত আছে। আমরা রিটার্ন দাখিলের সময় অডিট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক না করার দাবি জানাচ্ছি। দেশে কিছু সিএ আছেন, যাঁরা বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি করছেন, আবার তাঁরা কর পেশাতেও নিয়োজিত রয়েছেন, যা অনভিপ্রেত। জাতীয় রাজস্বের স্বার্থে যে চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট বা চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট ফার্ম কোনো করদাতার অডিট রিপোর্ট করার দায়িত্ব পালন করবেন, সেই চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টই আবার সেই করদাতার ইনকাম-ট্যাক্স মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না—এই মর্মে বিধি জারি করার দাবি জানানো হচ্ছে।
দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া মানে দুর্নীতিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার নামান্তর উল্লেখ করে সংগঠনটি বলে, এই সুযোগ দেওয়ার ফলে কালোটাকার প্রবাহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এই টাকা জাতীয় অর্থনীতি তথা রাজস্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবদান রাখছে না। এই টাকা ব্যবহৃত হচ্ছে ভোগ-বিলাস ও মানি লন্ডারিংয়ে। সুতরাং জাতীয় রাজস্বের স্বার্থে এই সুযোগ দেওয়া যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন, মহাসচিব মো. আব্দুল আজিজ সরকার, কার্যকারী সভাপতি মো. আকমল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।