খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৩ মে ২০১৬: বাংলাদেশে আইএস-আল কায়েদা বলতে কিছুই নেই। যারা এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন, তাদের সঙ্গে আইএস-আল কায়েদার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তারা বাংলাদেশের উগ্র সংগঠনের সদস্য।’
রাজধানীর পুলিশ সদর দফতরে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক এ সব তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা ঘরে ঘরে গোপনে প্রস্তুত হচ্ছে। এগুলো ‘টার্গেট কিলিং’। আমাদের সদস্যরাও কাজ করছে। আমাদের যদি প্রস্তুতি না থাকত তাহলে এ ধরনের ঘটনা আরও বেশি ঘটত।’
‘এখন পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা তেমন বিশেষ কোনো ব্যক্তি না যে তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে লিংক থাকবে’ যোগ করেন পুলিশ প্রধান।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন ইন্টারনেটের যুগ। এখন অনেক ধরনের অ্যাপস বের হয়েছে। কে কখন কোনো ধরনের অ্যাপস দিয়ে কাকে হত্যার দায় কার কাছে স্বীকার করছে সেটি বের করা সম্ভব হচ্ছে না।’
জুলহাজ-তনয় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খুনিদের কর্মকৌশল দেখে মনে হচ্ছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে যে জঙ্গি সংগঠনটি এর আগেও দায় স্বীকার করেছে, তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আর জেএমবির সদস্যরা কিছু করলেই আইএস বলে চালিয়ে দেয়। রাজশাহীতে শিক্ষক হত্যা এবং টাঙ্গাইলে দর্জি হত্যার সঙ্গেও জেএমবি জড়িত।’
শহীদুল হক বলেন, ‘জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘটানো ৩৭টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ২৫টির সাথেই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জড়িত। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ৮টি হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং বাকি ৪টি ঘটনা সন্ত্রাসী অথবা অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠী ঘটিয়েছে। ৩৭টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে বিচার সম্পন্ন হয়েছে একটি মামলার। মূল ঘটনা উদঘাটিত হয়েছে ৩৪টি মামলার। এখনেও ঘটনা উদঘাটন করা যায়নি ৩ মামলার। এ তিন মামলাসহ বাকি ৩১টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।’
ইন্সপেক্টর জেনারেল বলেন, ‘৩৭টি মামলার মধ্যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ৬টি মামলায়। এ সব মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪৪ জনকে। এদের মধ্যে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৪৯ জন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।