খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৩ মে ২০১৬: পুঁজিবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করতে কোনো শেয়ার বিক্রি করতে হবে না। এ জন্য নীতি সহায়তার মাধ্যমে সোলো (একক) ও কনসোলিডেটেড (সমন্বিত অর্থাৎ সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ) উভয় ভিত্তিতে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করা হবে। কোনো প্রকার প্রজ্ঞাপন জারি ছাড়াই এ নীতি সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে দুটি ব্যাংক তাদের ধারণকৃত শেয়ার ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে দেওয়া ঋণ সাবসিডিয়ারির মূলধনে রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছে। নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ থাকা বাকি ৮টি ব্যাংককে নীতি সহায়তা গ্রহণের আবেদন করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সোমবার (০২ মে) বিকালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা।
ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় নিয়ে এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বিতীয় জরুরি সংবাদ সম্মেলন। এর আগে বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাতে হঠাৎ একই বিষয়ে প্রথম জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যাংকগুলোর সমস্যার ধরন ভিন্ন ভিন্ন। তাই পৃথক পৃথকভাবে তাদের নীতি সহায়তা দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে। আর অধিকতর বিবেচনার দ্বার উন্মুক্ত রাখার জন্যই এ বিষয়ে এ মুহূর্তে কোনো সাধারণ প্রজ্ঞাপন প্রদানের প্রয়োজন নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকের ধারণ করা শেয়ার ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে দেওয়া ঋণ সাবসিডিয়ারির মূলধনে রূপান্তরের সুযোগ দেওয়ার কারণে একদিকে সাবসিডিয়ারির মূলধন বাড়বে, অপরদিকে তাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সীমা কমে আইনি সীমার মধ্যে নেমে আসছে। এভাবে সকল ব্যাংকই আইনি সীমার মধ্যে চলে আসবে। এ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য কোনো শেয়ার বিক্রি করতে হবে না।
৮টি ব্যাংক আবেদন না করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মূলধন বাড়ানো সংক্রান্ত আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর আগে, তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিতে হয়। যে কারণে ব্যাংক থেকে আবেদন আসতে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে অনুমোদন দিতে কিছুটা সময় লাগছে।
ব্যাংকগুলো আবেদন করলেই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ত্বরিত অনাপত্তি দেওয়া হবে। আর যে দুটি ব্যাংক আবেদন করেছে, তাদের আবেদন দ্রুত বিবেচনার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এ ব্যাংক দুটির নাম জানানো হয়নি।