Fri. Mar 28th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

45খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৩ মে ২০১৬: চাকরি খুঁজতে গিয়ে প্রতি পদক্ষেপেই মানসিক চাপে ভোগেন প্রার্থীরা। রিজিউম ঠিক আছে তো? সুষ্ঠু পদ্ধতিতে চাকরি খুঁজছি তো? ইন্টারভিউয়ে টিকে যেতে পারব তো? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন আশঙ্কা হয়ে দেখা দেয়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকার পরও নিজের ভুলে চাকরির সম্ভাবনা বাতাসে মিলিয়ে যেতে পারে। এমন পাঁচটি ভুলের কথা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো কৌশলে এড়িয়ে যেতে হবে যদি চাকরিটা পেতে চান।
১. অন্য প্রতিষ্ঠানে আগ্রহের কথা প্রকাশ
কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে একযোগে চাকরির চেষ্টা চলতেই পারে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর জন্য ভালো প্রস্তাবটি বেছে নেওয়া আরো কঠিন হয়ে উঠতে পারে। আবার এক প্রতিষ্ঠানের ইন্টারভিউয়ে বসে অন্যটির প্রস্তাব নিয়ে চিন্তাভাবনা চলমান থাকতেই পারে। তখন এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্যটির তুলনা প্রসঙ্গক্রমে আলাপচারিতায় চলে আসাটা অস্বাভাবিক নয়। চাকরিদাতারা এ বিষয়ে সচেতন। তাঁরা দেখতে চান প্রার্থী অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী কি না। যদি তেমন আলামত পাওয়া যায়, তবে প্রার্থীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো কথা না বলাই ভালো।
২. কাজের ভুল ফিরিস্তি প্রদান
যদি মনে করে থাকেন আগের কাজের ইতিহাস নিয়ে লুকোচুরি করে সুবিধা করতে পারবেন, তবে ভুল করছেন। নিয়োগপত্র পাওয়ার আগে শেষ ধাপে আগের চাকরিতে আপনার দায়িত্বশীলতা বা অন্যান্য বিষয়ে জানান দিন। শেষ স্তরে নতুন চাকরিদাতারা আগের প্রতিষ্ঠানের রেফারেন্স চেয়ে থাকেন। তাঁরা চাইলেই যোগাযোগ করে আপনার সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। কাজেই ভুল তথ্য দিলে আপনার কর্ম-আদর্শ নিয়ে সংশয় দেখা দেবে। আগের চাকরি ছাড়ার কারণও স্পষ্ট করতে হবে আপনার। তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে তাই সততা উত্তম পন্থা।
৩. বেতন কাঠামো নিয়ে মিথ্যাচার
প্রার্থীরা অনেক সময়ই ভেবে থাকেন, ইন্টারভিউয়ে বসে আগের চাকরির বেতন বাড়িয়ে বললে এখানেও সুবিধা করা যাবে। আসলে তা হয় না। বরং মিথ্যাচার আপনার সুনাম ক্ষুণœ করবে। চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে পারে। হয়তো আগের চাকরির নিয়োগপত্র চাইবে তারা। তাই মৌখিকভাবে মিথ্যাচার এড়িয়ে যান।
৪. বেতন-সংক্রান্ত আলোচনায় তালগোল পাকিয়ে ফেলা
অধিকাংশ মানুষই বেতন-ভাতা সংক্রান্ত আলোচনায় অস্বস্তি বোধ করেন। তাই এ নিয়ে প্রার্থীদের তেমন প্রস্তুতি থাকে না। বরং প্রসঙ্গ উঠলে তখনই কথা বলেন। এতে দুইভাবে সমস্যার উদয় ঘটতে পারে। এক, মনে হতে পারে আপনি যেকোনো বেতনে চাকরিটা পেতে চাইছেন। অর্থাৎ, আপনাকে ঠকানোর সুযোগ রয়েছে। দুই, আপনি চলতি বাজারের চেয়ে অনেক বেশি আশা করে আছেন। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চাইলে কোনো প্রতিষ্ঠান তা দিতে চাইবে না। ইন্টারভিউয়ে যাওয়ার আগে তাই বেতন বিষয়ে ভেবে নিন।
৫. শেষ সময় বিশেষ কিছুর জন্য আলোচনা
চাকরিদাতার কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা না পেলে যদি চাকরিটা না করার ইচ্ছা থাকে, তবে তা আগেই বলে দেওয়া উচিত। বিশেষ সুবিধার বিষয়টা বেতন, ছুটি বা যেকোনো বিষয়ে হতে পারে। সাধারণত চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান সহনীয় যেকোনো সুবিধা দিতে প্রস্তুত থাকে। কিন্তু তা সময়মতো সঠিক উপায়ে বলতে হবে। ইন্টারভিউ থেকে বাকি কাজগুলো সেরে শেষ পর্যায়ে গিয়ে এ প্রসঙ্গে কথা বলা বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। তা ছাড়া এতে আপনাকে সুযোগসন্ধানী বলে ধারণা করতে পারে প্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক অবস্থায়ই এ আলোচনার কাজ সেরে ফেলা প্রয়োজন বলেই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।