Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

48খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৩ মে ২০১৬: আওয়ামী লীগের ১০ ও ১১ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ২০তম জাতীয় সম্মেলনে মুরগির মাংসের বিরিয়ানি দিয়ে কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও অতিথিদের আপ্যায়িত করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপ-পরিষদের আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।
রাজধানীর ধানমন্ডি প্রিয়াংকা কমিউনিটি সেন্টারে খাদ্য উপ-পরিষদের সভায় মঙ্গলবার তিনি এ সব কথা জানান।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যতগুলো উপ-পরিষদ গঠন করা হয়েছে তার মধ্যে এই পরিষদ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সারাদেশ থেকে প্রায় ৩০ হাজার কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও অতিথিরা আসবেন। তাদের দেখভাল করা এবং সর্বোপরি দুপুরে তাদের খাবার ব্যবস্থা করাই এই কমিটির দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘এটা কঠিন দায়িত্ব। একসাথে এত লোকের খাবার পরিবেশন এবং এটা সুচারুভাবে শেষ করা কঠিন। এবার হয়তো রাতের খাবারও ব্যবস্থা করতে হতে পারে। যেহেতু দুইদিনব্যাপী কাউন্সিল। এ কারণে পরের দিন দুপুরেও খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। সেটা আমরা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে পরামর্শ করে তার নির্দেশনা মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
উপ-কমিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করে থাকি। এবারও আমরা আশা করছি, সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারব। সেজন্য আজকে খাওয়ার মেন্যু কি হবে, কত লোকের আয়োজন হবে, রান্নাবান্নার কাজ কোথায় হবে, সেটা এক জায়গায় হবে, না কয়েক জায়গায় হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।
মায়া বলেন, ‘আগত মেহমানদের খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনরকম অভিযোগ শুনতে না হয় সেইভাবেই দায়িত্ব পালন করছি। কারণ এটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। ভাল হলে খুবই ভাল, না হলে কিন্তু বদনামের শেষ থাকে না।
পরিকল্পনার কিছু অংশ তুলে ধরে মায়া বলেন, কাউন্সিলে অন্য ধর্মাবলম্বীদের কথা বিবেচনা করে এবার গরুর মাংস বাদ দিয়ে মুরগির মাংস দিয়ে বিরিয়ানির প্যাকেট করা হবে। সাথে সালাদসহ পানির বোতল এবং সফট ড্রিংকসের ব্যবস্থা থাকবে। কারণ গরুর মাংস দিয়ে বিরিয়ানির প্যাকেট হলে অনেক কথা ওঠে। এছাড়াও অনেকে অসুখ-বিসুখের কারণে গরুর মাংস খায় না। কাউন্সিলের দুই দিনেই এই একই মেন্যুতেই অতিথিদের আপ্যায়িত করা হবে। এটা আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত।
এছাড়া খাবার প্যাকেটটি কেমন সাইজ, কোন ধরনের হবে তা দলীয় সভানেত্রীর সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও আবহাওয়া এবং পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার চার স্থানে এই খাবার রান্না করা হবে।
কমিটির গুরুদায়িত্ব অনুসারে খাদ্য উপ-পরিষদে প্রায় ১ হাজার সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কেবলমাত্র একশ’ সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কমিটিতে সাংগঠনিক পদাধিকার বলে ঢাকা মহানগরীর দলীয় সংসদ সদস্য, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। এছাড়াও মহানগরীর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম। সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুছ ছাত্তার, হাবিবুর রহমান সিরাজ, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, এসএম কামাল হোসেন, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মুকুল চৌধুরী, শাহে আলম মুরাদ, সাদেক খান, ইঞ্জি. সবুর, রবিউল আলম বুদু, আসলামুল হক আসলাম, কামাল আহমেদ মজুমদার প্রমুখ।