খোলা বাজার২৪,শনিবার, ৭ মে ২০১৬: বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নেয়া সমীচীন হবে না। এ ক্ষমতাকে অবৈধ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিষয়ে যারা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তা কারও কাছে কাম্য নয়। যে ক’টি দেশে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেখানে ভালো কোনো দৃষ্টান্ত তৈরি হয়নি বরং এখানে সংসদকে অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হলে বিচারপতিরা সব সময় রাজনৈতিক চাপের মধ্যে থাকবেন। সংসদ সদস্যরা কোনো অপরাধ করলে তা বিচারের ক্ষেত্রে নানা সংকট তৈরি হওয়ার আশংকা থেকে যাবে, যা একজন বিচারপ্রার্থীর ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন সংশয় ও সমস্যা তৈরি হবে, তেমনি ক্ষেত্রবিশেষে বিব্রতকর পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে শুক্রবার আইন বিশেষজ্ঞ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কয়েকজন যুগান্তরের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, আমাদের সংসদ সার্বভৌম নয়। সংবিধান দ্বারা সীমাবদ্ধ। একমাত্র সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক জনগণ। তাই বিশেষ সুবিধার আওতায় সংসদ সদস্যরা এ নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করলে রাষ্ট্রের দুটি অঙ্গ বিচার বিভাগ ও আইন সভা মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাবে, যা দেশের জন্য ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
তারা আরও বলেন, বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা কার হাতে থাকল সেটি বড় বিতর্কের বিষয় নয়। এর চেয়ে বড় প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতি নিয়োগের যোগ্যতা ও প্রক্রিয়া নিরূপণের আইন দ্রুত তৈরি করা। অথচ যে আইনটি ৪৪ বছরেও হয়নি। তারা মনে করেন, এ আইন তৈরি করা হলে বিচারপতি অপসারণের প্রয়োজনই পড়বে না। এর আগে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নিয়ে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বৃহস্পতিবার অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের পর একইদিন সংসদে চলমান অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের কয়েকজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এমনকি আইনমন্ত্রী হাইকোর্টের রায়কেই সংবিধান পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংবিধানপ্রণেতা কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘এমনভাবে বিচারপতি নিয়োগ করতে হবে যাতে অপসারণেরই প্রয়োজন না হয়। ৪৪ বছর পার হলেও এখনও বিচারপতি নিয়োগে যোগ্যতার মাপকাঠি এবং প্রক্রিয়া নিরূপণের আইন অনুপস্থিত। এ ক্ষেত্রে সবার মনোযোগ দেয়া উচিত। অপসারণের ক্ষমতা কার হাতে থাকল, না থাকল সেই বিতর্ক বড় বিষয় নয়। এর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপতি নিয়োগের যোগ্যতার ও প্রক্রিয়া নিরূপণের আইন তৈরি করা। আইনটি তৈরি করে যোগ্য, দক্ষ বিচারপতি নিয়োগ করলে অপসারণের প্রয়োজনই হবে না বলে আমি মনে করি।’
ভারত, শ্রীলংকা ও মালয়েশিয়াতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে রয়েছে। তবে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে এই দেশগুলোতে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা সুখকর নয় বলে মনে করেন ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বিচার বিভাগ ছিল আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নেয়ার পর মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতায় এসে ১৯৮৮ সালে প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচ (অভিশংসন) করেছিলেন। পরে জনমতের চাপে ওই প্রধান বিচারপতির মৃত্যুর পর রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, ইটস টু লেট (এটা অনেক দেরি হয়ে গেছে) অ্যান্ড টু লিটল। পরিবার ওই ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। এছাড়া একইভাবে শ্রীলংকার প্রধান বিচারপতিকেও অপসারণ করা হয়। এরপর আইনজীবী, রাজনৈতিক দলসহ সবখানে আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। বিষয়টি রাজনৈতিক এজেন্ডায় পরিণত হয়। পরে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে ওই অপসারণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে। এজন্য বিচারপতি অসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নেয়া সুখকর নয়।’
ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পর সংসদ সদস্যদের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এ আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘পার্লামেন্টে আবেগপ্রসূত বক্তব্য এসেছে। বিচার বিভাগ ও বিচার বিভাগের রায় নিয়ে বলার ব্যাপারে পার্লামেন্ট রুলসে বাধা রয়েছে। যে ধরনের বক্তব্য এসেছে তা অনভিপ্রেত। পার্লামেন্টারি রুলস ও আচরণবিরোধী যেসব বক্তব্য এসেছে স্পিকার তা এক্সপাঞ্জ করবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি। যাতে করে পার্লামেন্টের সঙ্গে বিচার বিভাগের সুসম্পর্ক ও পারস্পারিক শ্রদ্ধার জায়গা অক্ষুণ্ণ থাকে।’
ব্যারিস্টার আমীর আরও বলেন, ‘বাহাত্তরে আমরা যখন সংবিধান তৈরি করেছিলাম তখন পার্লামেন্ট ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান সুসংগঠিত ছিল না। এর পরে রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে একের পর এক সামরিক শাসন জারি করা হয়, অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করা হয়। এসব থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্ট ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে। তাই বিচারপতি অপসারণের বিষয়টি আবেগপ্রসূত হয়ে দেখলে হবে না।’
এ ধরনের বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়ার ঘটনা ঘটলে পার্লামেন্ট ও সংসদ মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাবে কিনা জানতে চাইলে ব্যারিস্টার আমীর বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য কারও কাম্য নয়। একটা সেন্টিমেন্ট থেকে এটা করা হয়েছে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে পার্লামেন্টের হাতে অভিসংশনের ক্ষমতা থাকার কোনো সুফল আমি দেখি না।’
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে বলা হয়েছে, সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার যে বিধান রয়েছে, এ সংশোধনী তার পরিপন্থী। এছাড়া সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে আমাদের দেশের সংসদ সদস্যরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারেন না। দল যে সিদ্ধান্ত নেয় সে পক্ষেই তাদের ভোট দিতে হয়, এমনকি তারা যদি বিষয়টি সঠিক মনে নাও করেন। তারা দলীয় সিদ্ধান্তের কাছে জিম্মি। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বহাল থাকলে বিচারপতিদের সংসদ সদস্যদের করুণা প্রার্থী হতে হবে।
এ ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমাদের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি রয়েছে তাতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের হুমকির মধ্যে থাকতে হয়। এরপর উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা যদি সংসদের হাতে নেয়া হয়, তাহলে তাদেরও হুমকির মধ্যে থাকতে হবে। আর এটা হলে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে। তাই বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নেয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।’
সংসদ সদস্যদের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পর সংসদ যেভাবে উচ্চ আদালতকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছে তা দুঃখজনক। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ। সংসদ সদস্যদের ওই প্রতিক্রিয়া থেকে প্রমাণ হয়, বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়া হলে কোনো বিচারপতি সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় দিতে ভয় পাবেন। কারণ বিপক্ষে রায় দিলে তারাও সংসদে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারপতির বিরুদ্ধে উত্তপ্ত বক্তব্য রাখবেন। এতে করে বিচারপতিরা রাজনৈতিক চাপের মধ্যে থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘আশা করব বিচারিক পদ্ধতিতে সংশোধনী বাতিল হয়েছে, বিচারিক পদ্ধতিতেই এর সমাধান হবে। বিশেষ সুবিধা নিয়ে সংসদ সদস্যরা যেন সংসদে উত্তপ্ত বক্তব্য না দেন। এভাবে উত্তপ্ত বক্তব্য দিলে বিচার বিভাগ ও সংসদ মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাবে। আর রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দুটি অঙ্গ মুখোমুখি দাঁড়ালে তা দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। সব কিছু ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। আশা করব, সংসদ সদস্যরা এ বিষয়টি মাথায় রাখবেন। অন্যথায় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করলে দেশ গভীর সংকটে পড়ে যাবে বলে আমি মনে করি।’
সাবেক বিচারপতি আমিরুল কবীর চৌধুরী এ ব্যাপারে যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি মনে করি, বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিমকোর্টের হাতে থাকা ভালো। এক্ষেত্রে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অ্যাটর্নি জেনারেলকে রাখতে হবে। তবে রায় অবৈধ ঘোষণা ও এ বিষয়ে সংসদে বিতর্ক নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।’
আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর পরে জনমনে ধারণা হয়েছিল যে, বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেল। অপসারণের ভয়ে বিচারকরা শংকিত থাকবেন। এ ধারণা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করেছিল এবং বিচার বিভাগের ওপর আস্থার ঘাটতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ প্রেক্ষাপটে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং বিচার বিভাগের ওপর জনগণের সম্পূর্ণ আস্থা ধরে রাখার জন্য এ রায়ের বিকল্প ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে রয়েছে- এমন যেসব দেশের উদাহরণ দেয়া হচ্ছে, সেখানে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে মতামত দিতে পারেন। নিজস্ব বুদ্ধি-বিবেচনায় সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে দলীয় সিদ্ধান্তে হাত-পা বাঁধা সংসদ সদস্যরা বিচার-বিবেচনা প্রয়োগ করে বিচারপতি অপসারণের বিষয়ে মত দিতে পারবেন না। ফলে বিচারপতি অপসারণের বিচার প্রহসনে পরিণত হবে।’
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর যে বিতর্ক হয়েছে তাতে দেশ গভীর সংকটে পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাইকোর্ট বহুবার সংবিধানের সংশোধনী বাতিল করেছেন। পার্লামেন্টে পাস করা আইন ও আইনের অংশ বিশেষ বাতিল করেছেন। তাই এটা নতুন কিছু নয়। সংসদ সদস্যরা যে উষ্মা প্রকাশ করেছেন, তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তা প্রত্যাশিত। কারণ তাদের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট বাতিল করেছে। তবে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সংসদ সার্বভৌম, রায় অসাংবিধানিক ইত্যাদি ভীষণ অতিরঞ্জিত মন্তব্য করেছেন। এতে সংকট তৈরি হবে বলে আমি মনে করি না।’ ড. শাহদীন মালিক সংসদের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের পার্লামেন্ট সার্বভৌম নয়। বিলেতের পার্লামেন্ট সার্বভৌম। তাই ওই পার্লামেন্টে পাস করা আইন সেখানকার বিচার বিভাগ বাতিল করতে পারে না। আমাদের পার্লামেন্ট আমেরিকার পার্লামেন্টের আদলে তৈরি করা, বিলেতের আদলে নয়। আমেরিকার সংসদে পাস হওয়া আইন সেখানকার আদালত বাতিল করতে পারেন। তাই আমাদের আদালতও সংসদের আইন বাতিল করতে পারেন। কিন্তু এখানকার সংসদ সার্বভৌম নয়। আমাদের সংসদ সংবিধান দ্বারা সীমাবদ্ধ। তাই সংসদের তৈরিকৃত আইন বাতিল করলে সংসদের করার কিছুই নেই।’
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ও সংসদ সদস্যদের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘বিচার বিভাগ এবং আইন সভার মুখোমুখি অবস্থান এবং বিতর্ক দেশে বিপজ্জনক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। সবারই সংযত আচরণ দেখানো এবং পরস্পরের কাছে গ্রহণযোগ্য পন্থা উদ্ঘাটন করা উচিত। তিনি আরও বলেন, সংসদের ভাবার কোনো কারণ নেই যে সে একা সার্বভৌম। সার্বভৌমত্ব কার বেশি আইনসভার, বিচার বিভাগের না নির্বাহী বিভাগের- এটা নিয়ে বিতর্ক হাস্যকর। কারণ সংবিধান অনুসারে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক জনগণ। তাই বিচারপতি অসারণের ক্ষমতা কার হাতে যাবে তা নির্ধারণ করার একমাত্র দায়িত্ব সংসদের নয়। সবার সম্মতিতেই একটি পদ্ধতির উদ্ভাবন করতে হবে।’
বাংলাদেশের আদি সংবিধানে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের কাছে ন্যস্ত করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে পঞ্চম সংশোধনীতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বিলুপ্ত করে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হয়। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর আসাদুজ্জামান সিদ্দিকীসহ নয়জন আইনজীবী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার ওই সংশোধনী অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী বলে রায় দেন হাইকোর্ট।