Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

37খোলা বাজার২৪,শনিবার, ৭ মে ২০১৬: প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা নির্বাচনের ন্যায় চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরকার ভোট জালিয়াতির মহোৎসব চালিয়ে সব কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার বিকেলে চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তথ্য তুলে ধরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘৪৭টি জেলার ৭০৯টি ইউপি নির্বাচনে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যালট পেপারে সিল মেরে, জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছে। আইন অনুযায়ী সকাল আটটায় ভোট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল রাত থেকেই ক্ষমতাসীনরা ব্যালট বাক্স ভরে রেখেছে। বাকিটা সকালে সকল ভোটকেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতাসীনদের কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের কথা জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং প্রশাসন সরকারদলীয় প্রার্থীদের সহযোগিতা করেছে।’
‘চলছে দেশজুড়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র ভোট ডাকাতির তাণ্ডব। সারাদেশেই বরাবরের মতোই বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চলছে’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আগের তিন ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা, অস্ত্রের মহড়া, হামলা ও নিরুপায় হয়ে প্রার্থীদের ভোট বর্জনের চিত্র ছিল একই উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘পূর্বের ন্যায় এবারও ভোটের দিন সকাল ৮টায় ভোট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেক কেন্দ্রে ভোট শুরু হয়ে যায় আগের রাতে। এছাড়া আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী অসংখ্য ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদানের মহোৎসব চালিয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনি হলে ৯০ ভাগ বিএনপির প্রার্থী জয়ী হত।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন মায়ার নেতৃত্বে কয়েকটি ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে। মায়া আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পর প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারছে। আর মারবেন না কেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পরও তার মন্ত্রীত্ব বহাল আছে। তার কাছে গণতন্ত্রই কি আর নির্বাচনই বা কী।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততার কারণেই বিএনপির কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারলেও চাপ সৃষ্টির কারণে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন। যে কারণে চতুর্থ ধাপের এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০৯টি ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপির প্রার্থী শূণ্য থাকছে। এই প্রার্থী শূণ্যতার জন্য দায়ী অথর্ব নির্বাচন কমিশন।’
রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রথম ধাপ হচ্ছে নির্বাচন, সেই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে হত্যা করেছে এই কমিশন। এরা গণতন্ত্র হত্যার জল্লাদ হিসেবে এদের নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে। মানুষের ভোটাধিকার দুর্বিনীত শাসকদলের অনুকুলে হরণ করতে সহায়তা করার জন্য এই কমিশনের পদাধিকারীরা দেশবাসীর কাছে দুস্কৃতিকারী হিসেবেই গণ্য হবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হারুন উর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মোস্তাক মিয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবেদ রাজা প্রমুখ।