Fri. Jun 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

49খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৮ মে ২০১৬: পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির মতে, অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হলে কোনো বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে অফিশিয়ালি ডিএসইর অনুমোদন নেই।
রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই প্রাঙ্গণে রবিবার (৮ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত বাজেট পূর্ববর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সকালেই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবি আর) কাছে আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) বাজেট উপলক্ষে বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই প্রস্তাবে কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি।
তবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর পক্ষ থেকে আগামী অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, আমরা এ সুবিধাকে নৈতিকভাবে পচ্ছন্দ করি না। তাই এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাব রাখা হয়নি।
তবে সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর শাকিল রিজভী বলেন, অপ্রদর্শিত টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থেকে থাকলে, তা শেয়ারবাজারের জন্যও আছে। অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হলে বাধা নেই। তবে স্টক এক্সচেঞ্জে অফিশিয়ালি এর অনুমোদন নেই। আর আমরা যা চাই, তা আমাদের প্রস্তাবেই আছে।
এদিকে এনবি আরের কাছে দেওয়া প্রস্তাবের বিষয়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, শেয়ারবাজারের গতিশীলতা ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ক্রমহ্রাস মানের পরিবর্তে ডিমিউচুয়ালইজেশন-পরবর্তী পাঁচ বছর স্টক এক্সচেঞ্জের শতভাগ আয়কর অব্যাহতি দেওয়া, শেয়ার লেনদেনে ব্রোকারেজ হাউসের কর হার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ করা, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজড শেয়ার হস্তান্তরে স্ট্যাম্প ডিউটি বাদ দেওয়া, নিবাসী ও অনিবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে নেওয়া কর ৮২সি ধারার অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা এবং আয়কর অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪-এর সেকশন ২-এর সাব সেকশন (৩৫)-এর অধীনে আয়বর্ষের সংজ্ঞা পরিবর্তন করার দাবি জানানো হয়েছে।
পাঁচ বছর স্টক এক্সচেঞ্জের আয় করমুক্ত রাখার বিষয়ে বলা হয়েছে, ডিএসই একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। কিন্তু প্রশাসন থেকে মালিকানা পৃথকীকরণের (ডিমিউচুয়ালাইজড) পর ডিএসই লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর হয়েছে। ডিমিউচুয়ালইজেশন স্কিমের আওতায় স্টক এক্সচেঞ্জের সংস্কার চলছে। এই সংস্কার চলমান রাখতে এবং পুঁজিবাজারের অবকাঠামোগত বিনিয়োগ সক্ষমতা ধরে রাখতে পাঁচ বছর শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা প্রয়োজন। এই সুবিধা দিলে সরকারের রাজস্ব আয়ে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
বাজেট প্রস্তাবের বিষয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাকবাজেটে আলোচনায় পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এনবি আরের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।