খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০১৬: কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি।।ঠাকুরগাঁওয়ে সামান্য অর্থের অভাবে জীবন যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে ক্যান্সারে আক্রান্ত শাহিনা। ক্যান্সারে আক্রান্ত শাহিনার বাঁচার আকুতি যেন থামছেই না। আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। আপনাদের সহায়তায় আমি এই পৃথিবীর আলোর মুখ দেখতে চাই। আমি না থাকলে আমার ৫ ছেলের জীবনে নেমে আসবে অন্ধকার। বাঁচার এমন আকুতি করেছিল ক্যান্সারে আক্রান্ত শাহিনা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া চোংগাখাতা গ্রামের হতদরিদ্র মোশারফ হোসেনের স্ত্রী শাহিনা বেগম (৪৫)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুরাব্যাধী থাইব্রোসার (ক্যান্সার) নামক রোগে ভুগছিলেন। মাস দু-তিনেক আগে তিনি দিনাজপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে সেখান থেকে ঢাকা জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বর্তমানে ডা: শেখ গোলাম মোস্তফার চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। অন্যদিকে স্বামী মোশারফ হোসেনের কাছে ভিটা বাড়ির জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। তার ৫ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে অন্যের দোকানে দর্জীর কাজ করেন, ১ ছেলে ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করেন, আর তিন ছেলে এখনো ছোট। তাই তিনি অর্থের অভাবের জন্য চিকিৎসা করতে পারছেন না। এমত অবস্থায় আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পায় সংবাদটি। এতে এগিয়ে আসেন সমাজের কিছু বৃত্তবান, দানশীল, সেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মহৎ ব্যাক্তিদ্বয় ও জেলা প্রশাসন। তাদের সহযোগীতায় এই পর্যন্ত দুরাব্যাধী ক্যান্সারের ৫টি কেমো থেরাপির সম্পন্ন হয় দেড় লক্ষাধিক টাকারো উপরে। কিন্তু বিধীবাম, পরিশেষে রেডিও থেরাপি নামক একটি থেরাপী বাকি রহিয়াছে। যাহা চলমান চিকিৎসায় দিতে হবে আগামী ২০শে মে ২০১৬ইং। তাতে খরচ হবে প্রায় ষাট থেকে সত্তর হাজার টাকা। টাকার অভাবে থেমে গেছে শাহিনার শেষ চিকিৎসা। তাই তিনি আবারো সমাজের বিত্তবান ও দানশীল এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে মায়ের চিকিৎসার জন্য এই দুই ছেলে তাদের লেখাপড়া-কাজ কর্ম ফেলে সাহায্যের জন্য দাড়ে দাড়ে ঘুরছে। বর্তমানে শাহিনার বাড়িতে শুধু মাত্র একটি থাকার ঘর রহিয়াছে। এরই মধ্যে সৌদি আরব প্রবাসী এক দানশীল ব্যক্তি ৫ হাজার টাকা দান করেছেন বলে জানান পরিবারটি। কিন্তু টাকার প্রয়োজনতো অনেক, তাই তিনি আবারো সমাজের বিত্তবান ও দানশীল এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছেন যাতে করে শেষ চিকিৎসাটুকু শেষ করতে পারেন।