Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

47খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০১৬: বর্তমান সময়ের ক্রিকেটারদের কাছে অনেকটা অভিভাবকের মতো তিনি। প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে মোটেও কার্পণ্য করেন না তিনি। খেলার মাঠে হোক আর খেলার বাইরে হোক, দুঃসময়ে কখনো অভিভাবক, কখনো বড় ভাইয়ের মতো ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ান বাংলাদেশ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটার শাহাদাত যখন ক্রিকেট থেকে একরকম নির্বাসিত, তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন মাশরাফি। বলা যায় তাঁর সহযোগিতায়ই মুক্তি মিলেছে নিষিদ্ধ এই ক্রিকেটারের।
তেমনটা বলেছেনও শাহাদাত, ‘এটা বলে বোঝানো যাবে না নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়ে আজ আমার কাছে কতটা ভালো লাগছে। এ ক্ষেত্রে বিসিবি এবং বোর্ডের অনেক কর্মকর্তাই সহযোগিতা করেছেন আমাকে। তবে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন মাশরাফি ভাই।’
মাশরাফি সব সময় তাঁর পাশে ছিলেন বলেও জানান শাহাদাত, ‘মাশরাফি ভাইয়ের সুপারিশের কারণেই হয়তো আবার খেলার মাঠে ফেরার অনুমতি পেয়েছি। শুধু তাই নয়, সব সময় তিনি আমার পাশে ছিলেন। দুঃসময়ে তিনি আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। অভিভাবক ও বড় ভাইয়ের মতো পরামর্শ দিয়েছেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
এখন শাহাদাত নিজের জীবনেও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চান, ‘এটা মানতে দ্বিধা নেই, খুবই অনিয়মিত জীবন-যাপন করেছি আমি। এটা আমার ক্যারিয়ারের অনেক ক্ষতি করেছে। তাই এখন আমার প্রধান কাজ হচ্ছে জীবনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।’
আজ মঙ্গলবার বিসিবি শাহাদাতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ঘরোয়া আসরে খেলার অনুমতি দিয়েছে। মানবিক কারণেই নাকি বিসিবি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য জাতীয় দলে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি তাঁকে। আদালতের পুরোপুরি রায় না আসার আগ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে শরীর ও চোখের নিচে আঘাতের চিহ্নসহ ১১ বছর বয়সী গৃহকর্মী হ্যাপিকে রাজধানীর মিরপুরে উদ্ধার করেন সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক। শিশুটির অভিযোগ ছিল, সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় গৃহকর্মী ছিল। শাহাদাত ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাকে নির্যাতন করেছেন। সেদিনই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।
এরপর সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। মামলাটি এখনো বিচারাধীন।