Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

25kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৪ মে ২০১৬: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বেশি নাক গলালে দরকার হলে পাকিস্তানের সঙ্গে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের চোখ-রাঙানিতে বাংলাদেশ ভয় পায় না। দরকার হলে জাতিসংঘের সহায়তা নিয়ে পাকিস্তানি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনাসদস্যের বিচার করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় শেখ সেলিম এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৭ মে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বেলা তিনটার আলোচনা সভা সফল করতে এই যৌথ সভার আয়োজন করা হয়।
পাকিস্তানের উদ্দেশে শেখ সেলিম বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবার কোনো অধিকার তোমাদের নেই। পাকিস্তান বাড়াবাড়ি করছে। আপনাদের মাথার বোঝা এখনো নামেনি। এখানে মানবতাবিরোধীদের বিচার হয়েছে। শিমলা চুক্তি করে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনাসদস্যের বিচার হওয়ার কথা ছিল, আপনারা করেন নাই। দরকার হলে জাতিসংঘের সহায়তা নিয়ে সেই ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনা সদস্যের বিচার করব।’
পাকিস্তান সরকারের উদ্দেশে সাবেক মন্ত্রী সেলিম বলেন, ‘তোমাদের সঙ্গে আমাদের এমন কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য নাই, মহব্বতও নাই। ওইখানে আমাদের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবা? দরকার হলে তোমাদের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক আমরা রাখব না।’
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এম আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের কথা উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘বিএনপি মুখে ইসলামের কথা বলে। আর ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে হাত মেলায়। বঙ্গবন্ধু এই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। মুসলমানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। আর ওনারা ক্ষমতা যাওয়ার জন্য তাদের ধরছে। চিন্তা করেন আসলাম বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। এই ইহুদি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই সরকারকে উৎখাত করবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এসে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে—এই হলো তাঁদের ষড়যন্ত্র।’ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক শেখ হাসিনাসহ একটা কর্মী বেঁচে থাকতে ইহুদিরা বাংলাদেশে সুযোগ পাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যৌথ সভায় পাকিস্তানের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে ১৯৭১ সালেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আপনাদের নাক গলানো কিংবা হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আপনাদের এই ধৃষ্টতা দেখাবেন না। আপনাদের এই জংলি মনোভাব বাংলাদেশের মানুষ বরদাশত করবে না।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে যৌথ সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।