খোলা বাজার২৪, রোববার, ১৫ মে ২০১৬: ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যার ১৯ দিন পর আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক সন্দেহভাজন সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মারুফ হোসেন সরদার জানান, পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের সদস্যরা রোববার ভোরের দিকে কুষ্টিয়া থেকে শরিফুল ইসলাম ওরফে শিহাব নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, “শিহাব আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। ঢাকায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তারা কুষ্টিয়ায় পালিয়ে ছিল।তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।”
উপ কমিশনার (মিডিয়া) মারুফ হোসেন জানান, দুপুরে মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
গত ২৫ এপ্রিল কলাবাগানে বাড়িতে ঢুকে জুলহাজ ও তার বন্ধু তনয়কে কুপিয়ে হত্যার পর আনসার আল ইসলামের নামে দায় স্বীকারের খবর আসে।
ঢাকায় ইউএসএআইডির কর্মসূচি কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান (৩৫) সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক দীপু মনির খালাত ভাই। তিনি সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সাময়িকী ‘রূপবান’ সম্পাদনায় যুক্ত ছিলেন।
আর তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয় (২৬) ছিলেন লোকনাট্য দলের কর্মী। পিটিএ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ‘শিশু নাট্য প্রশিক্ষক’ হিসেবেও কাজ করতেন তিনি।
প্রতক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, সেদিন হামলায় অংশ নিয়েছিল পাঁচ থেকে সাতজন।
হামলাকারীদের অস্ত্রাঘাতে ওই বাড়ির দারোয়ান পারভেজ মোল্লা আহত হন। বাধা দিতে গিয়ে আহত হন মমতাজ নামে এক এএসআই।
খুনিরা পালানোর সময় তাদের একজনের কাছ থেকে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে রাখেন মমতাজ, যেখানে একটি পিস্তল, একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মোবাইল ফোন পায় পুলিশ।
জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন ঘটনার দিনই কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাতে অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়।
আর এএসআই মমতাজের ওপর হামলা এবং অস্ত্র পাওয়ার ঘটনায় অন্য মামলাটি করেন কলাবাগান থানার এসআই শমীম আহমেদ। দুটি মামলারই তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ।