খোলা বাজার২৪, রোববার, ১৫ মে ২০১৬: রাজধানীর কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় কুষ্টিয়া থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার শরিফুল ইসলাম ওরফে শিহাব (৩৭) আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সক্রিয় সদস্য। সে কুষ্টিয়া অঞ্চলে এবিটির একটি ইউনিট পরিচালনা করে।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের একটি দল কুষ্টিয়ার ছয় রাস্তা মোড় এলাকায় অভিযান শিহাবকে গ্রেপ্তার করেছে বলে আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিহাব কলাবাগান জোড়া খুনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তা ছাড়া ওই দিন জব্দ করা দুটি অস্ত্রের একটি তার নিজের বলে জানিয়েছে। এবিটির এর আগে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সে অস্ত্র ও বোমা দিয়ে সহায়তা করেছে।
শিহাব ২০১৫ সালে এবিটিতে যোগ দেয় বলে পুলিশ দাবি করেছে। নাস্তিক ব্লগারদের হত্যা ও এর পাশাপাশি কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করার জন্য সেখানকার একজন চেয়ারম্যানকে হত্যার পরিকল্পনা শিহাবের ছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে।
গত ২৫ এপ্রিল কলাবাগানের একটি বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জুলহাজ যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডিতে চাকরি করতেন। তিনি সমকামীদের অধিকার-বিষয়ক সাময়িকী ‘রূপবান’ সম্পাদনা ও প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাহবুব ছিলেন নাট্যকর্মী।
দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীকেও কোপায়। পরে কলাবাগানের ডলফিন গলি দিয়ে পালানোর সময় কলাবাগান থানার পুলিশের এক সদস্য এক দুর্বৃত্তকে জাপটে ধরেন। দুর্বৃত্তরা তাঁকেও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় এক দুর্বৃত্তের কাছ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ব্যাগে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নয় ধরনের আলামত পাওয়া যায়।
জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয়কে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) কথিত বাংলাদেশ শাখা ‘আনসার আল ইসলাম’।
জুলহাজ ও মাহবুব হত্যার ঘটনায় কলাবাগান থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি হত্যা মামলা, অন্যটি অস্ত্র আইনে।
নিহত জুলহাজ মান্নানের ভাই মিনহাজ মান্নান হত্যা মামলাটি করেছেন।
সরকারি কাজে বাধা ও অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের কাছে দায়িত্ব পালন করা পুলিশের উপপরিদর্শক শামীম আহমেদ।
দুটি মামলাতেই অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা দুটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।গ্রেপ্তার শিহাব ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছে: পুলিশ
বাংলাদেশ নিউজ২৪ : রবিবার, ১৫ মে ২০১৬
ঃড়হড়ুরাজধানীর কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় কুষ্টিয়া থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার শরিফুল ইসলাম ওরফে শিহাব (৩৭) আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সক্রিয় সদস্য। সে কুষ্টিয়া অঞ্চলে এবিটির একটি ইউনিট পরিচালনা করে।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের একটি দল কুষ্টিয়ার ছয় রাস্তা মোড় এলাকায় অভিযান শিহাবকে গ্রেপ্তার করেছে বলে আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিহাব কলাবাগান জোড়া খুনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তা ছাড়া ওই দিন জব্দ করা দুটি অস্ত্রের একটি তার নিজের বলে জানিয়েছে। এবিটির এর আগে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সে অস্ত্র ও বোমা দিয়ে সহায়তা করেছে।
শিহাব ২০১৫ সালে এবিটিতে যোগ দেয় বলে পুলিশ দাবি করেছে। নাস্তিক ব্লগারদের হত্যা ও এর পাশাপাশি কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করার জন্য সেখানকার একজন চেয়ারম্যানকে হত্যার পরিকল্পনা শিহাবের ছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে।
গত ২৫ এপ্রিল কলাবাগানের একটি বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জুলহাজ যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডিতে চাকরি করতেন। তিনি সমকামীদের অধিকার-বিষয়ক সাময়িকী ‘রূপবান’ সম্পাদনা ও প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাহবুব ছিলেন নাট্যকর্মী।
দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীকেও কোপায়। পরে কলাবাগানের ডলফিন গলি দিয়ে পালানোর সময় কলাবাগান থানার পুলিশের এক সদস্য এক দুর্বৃত্তকে জাপটে ধরেন। দুর্বৃত্তরা তাঁকেও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় এক দুর্বৃত্তের কাছ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ব্যাগে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নয় ধরনের আলামত পাওয়া যায়।
জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয়কে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) কথিত বাংলাদেশ শাখা ‘আনসার আল ইসলাম’।
জুলহাজ ও মাহবুব হত্যার ঘটনায় কলাবাগান থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি হত্যা মামলা, অন্যটি অস্ত্র আইনে।
নিহত জুলহাজ মান্নানের ভাই মিনহাজ মান্নান হত্যা মামলাটি করেছেন।
সরকারি কাজে বাধা ও অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের কাছে দায়িত্ব পালন করা পুলিশের উপপরিদর্শক শামীম আহমেদ।
দুটি মামলাতেই অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা দুটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।