Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

3kখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০১৬: শান্তি নাই রে, কবরেও শান্তি নাই! বাংলা চলচিত্রের প্রয়াত হুমায়ন ফরিদীর এই ডায়ালগ সবার পরিচিত। কিন্তু বাস্তব জীবনেও এই ডায়ালগের প্রয়োগ ঘটেছে সাভারে আশুলিয়ার গকুলনগর এলাকায়। এখানকার একটি কবরস্থান থেকে সোমবার ভোরে একটি দুষ্টুচক্র মানবদেহের সাতটি কঙ্কাল নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এর আগেও গত বছরের ২৪ জুন এই কবরস্থান থেকেই তেরোটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছিল। যা দেশের মিডিয়ায় সেসময় সারা তুলেছিল। কিন্তু আবারো রাতের আঁধারে কবরস্থানটি থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে মোট ২০টি কঙ্কাল চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটল এই কবরস্থানেই।
ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর মুখে ‘কবরেও শান্তি নাই’- এমন বুলি আওড়াতে দেখা গেছে। জনৈক সাইফুল ইসলাম, হাজী রেজু বেপারী, নাছির উদ্দিন মিন্টু ও হাজী আব্দুর ছাত্তারসহ অনেকেই ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় এমন মন্তব্য করেছেন।
এদের মধ্যে হাজী রেজু বেপারী নামে ষাট বছরের এক বৃদ্ধ জানান, ফজরের নামাজ পড়ে প্রতিদিনই তিনি কবর জিয়ারতের জন্য কবরস্থানে যান। আজও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজ কবরস্থানে গিয়ে আটটি কবরের মাটি আলগা দেখে সন্দেহ হয় তার। পরে তিনি আশেপাশের লোকজন নিয়ে এসে কবরগুলো খুঁড়তে শুরু করেন। এসময় তিনি কবরে থাকা মৃতদেহগুলো নিখোঁজ দেখতে পান। তবে এর মধ্যে একটি কবরের লাশ কবরেই ছিল বলেও জানান তিনি।
কবর থেকে লাশ চুরি যাওয়ার ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে হাজী আব্দুর ছাত্তার জানান, প্রতিনিয়ত কবর থেকে লাশ গায়েব হয়ে কোথায় যাচ্ছে কেউ জানে না। আর কে এই ধরনের কাজের সাথে লিপ্ত তাও অজানা তাদের।
এ ব্যাপারে কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ বায়েজিদ জানান, গত এক বছরে দুইবার কবরস্থান থেকে মানবদেহের কঙ্কাল চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী হতাশ। একই সাথে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কসহ চাপা ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কবর থেকে লাশ চুড়ি যাওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মিন্টু একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ব্যাপারটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার পর নিখোঁজ লাশের স্বজনরা কবরের সামনে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। একই সাথে স্থানে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।