খােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০১৬: মুসলিম বিশ্বের সমর্থন পেতে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের নাটক সাজিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আবদুল মতীনের ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে মাওলানা মতীনের ভূমিকা শীর্ষক” আরোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনা ও তার দলের ব্যক্তিগত অর্জন। তারা ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই বোঝে না। তাই তারা ষড়যন্ত্র বলে বেড়াচ্ছে। ষড়ডন্ত্র কখনো প্রকাশ্যে হয় না। আসলে ষড়যন্ত্র করে এ সরকারই ভারতের সহযোগিতায় ক্ষমতায় আছে। তাই তারা মনে করে সবাই তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের অনেক নেতাকে জেলে নিয়ে বিএনপিকে টুকরো করে যেন তেন ভাবে আরেকটা নির্বাচন দিতে চায়। সে নির্বাচনে বিএনপিকে দাওয়াত করবে হাসিনা। বিএনপি সে দাওয়াতে যাবে না। এদেশে তখনই নির্বাচন হবে যে নির্বাচনে জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে। খালেদা জিয়াকে জিলে নিলে সেখানে (জেল খানায়) স্বল্পসময়ে সেখানে হাসিনারও দেখা হবে বলে জানান তিনি। ১৬ কোটি মানুষ এই সরকারের পতন চায় মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, যাদেরকে জনগণ চায় না তাদেও বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করতে হয় না। দেশের একজন রিক্সাওয়লাও এই সরকারের পতন চায়। ১৬ কোটি মানুষই সরকারকে উৎখাত করতে চায়। একদিনও এই সরকার ক্ষমতায় থাকুক তা এদেশের জনগণ চায় না।এখন পর্যন্ত ভারত ছাড়া বিশ্বেও কোন দেশই এই সরকারকে বৈধতা দেয়নি। বৈধতা পাওয়ার জন্যই সরকার একেক সময়ে একেক নাটক সাজাচ্ছে।এসব করে শেষ রক্ষা হবে না।
তিনি বলেন, জয়ের একাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলালের উৎসের খোজ খবর নিচ্ছেলেন। সেকারনেই তাকে গ্রেফতার করলেন। তাকে গ্রেফতার করে কি তথ্য পেয়েছেন তা জাতির সামনে প্রকাশ করুন। মিডিয়া মালিকদের ব্যাকমেইল করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এখন গণমাধ্যম আর গণমাধ্যম নেই। এখন হয়ে গেছে হাসিনা মাধ্যম। সরকার মিডিয়া মাধ্যম গুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে তারা যা জানে তা বলতে পারেনা।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লা আল মেহেদী, সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ফারুক রহমান, যুগ্ম মহাসচিব উম্মে হাবিবা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন, আবদুল্লাহ আল মামুন, খোন্দকার মাহমুদুল হাসান, এ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন, ইসলামিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান খোকন, কেন্দ্রীয়নেতা আল আমিন ও ছাত্রমিশন সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন প্রমুখ। মরহুমের বিদেহী আত্বার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন মাওলানা ফেরদাউস আহমদ পীরসাহেব মির্জাগঞ্জ।
