খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৮ মে ২০১৬: ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধে একমাত্র বিদেশী মুক্তিযুদ্ধা ‘উইলিয়াম আব্রাহাম সাইমন ঔডারল্যান্ড’ যাকে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ সামরিকখেতাব ‘বীর প্রতিক’ এ ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে বীরত্বপূর্ণ ও অসামান্য নৈপুণ্যতার কারণে পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীরপ্রতীক সম্মাননায় সম্মানিত করে। স্বাধীনতা যুদ্ধে এই পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় তাঁরনাম ২ নম্বর সেক্টরের গণবাহিনীর তালিকায় ৩১৭।
ঔডারল্যান্ড ছিলেন একজন ওলন্দাজ-অস্ট্রেলীয় সামরিক কমান্ডো অফিসার। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ২০০১ সালের আজকের এই দিনে (১৮ মে) মৃত্যুবরণ করেন তিনি। আজ তাঁর ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর হল্যান্ডের
আমস্টারডামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার অ-কৃত্রিম এই সারথি।
ঔডারল্যান্ড ঢাকায় বাটা স্যু কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নেদারল্যান্ডস থেকে ১৯৭০ সালের শেষ দিকে প্রথম ঢাকায় আসেন। টঙ্গীর বাটা জুতার কারখানায় কর্মরত অবস্থায় ১৯৭১ সালের ৫ মার্চ মেঘনা টেক্সটাইল মিলের সামনে শ্রমিক-জনতার মিছিলে ইপিআর-এর সদস্যদের গুলিবর্ষণের ঘটনা কাছে থেকে দেখেছেন।
পূর্ব পাকিস্তানের ১৯৭১-এ মার্চের গণ আন্দোলন, ২৫ মার্চ এর অপারেশন সার্চলাইট এবং এর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হত্যাকান্ড ও নৃশংস বর্বরতা দেখে মর্মাহত হন এবং যুদ্ধে বাংলাদেশকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন।
বাংলাদেশের প্রতি অপরিমেয় ভালবাসার জন্য বাঙ্গালী জাতির কাছে তিনি বিশেষভাবে সম্মানিত ও স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানের একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে তাঁর নামে। মৃত্যুর পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত অত্যন্ত গর্ব ভরে ও শ্রদ্ধার্ঘ্য চিত্তে নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ খেতাবটি লিখেছিলেন তিনি।