খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২১ মে, ২০১৬: দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে কাজ করার পুরস্কার হিসেবে বিএনপিতে আসলাম চৌধুরীর ‘প্রমোশন’ হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সেখান থেকে দলের অনেক সিনিয়র নেতাকে উপেক্ষা করে খালেদা জিয়া আসলাম চৌধুরীকে সরাসরি দলের যুগ্ম মহাসচিব বানিয়েছেন। এর পেছনে প্রধান কারণ ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করার পুরস্কার।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে যখন আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের সচিত্র খবর প্রকাশ করা হয়, তখন বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে তা অস্বীকার করা হয়। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে আসলাম চৌধুরী যখন স্বীকার করেন, তখন বিএনপি মুখে কুলুপ দেয়। আসলাম চৌধুরী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে স্বীকার করেছেন যে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশেই তিনি ইসরায়েলি প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আর মোসাদের সে এজেন্টের অবস্থা ‘ঠাকুরঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’ সে অবস্থার মতো। সেই এজেন্ট বিবিসির কাছে সাক্ষাৎকারে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন। এতেই প্রমাণ হয়েছে যে ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
আসলাম চৌধুরী যে কেবল ভারতের বিভিন্ন শহরে ইসরায়েলি এজেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তা নয়, তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় ইসরায়েল সফরও করেছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, নির্বাচন এলেই খালেদা জিয়া কড়া মুসলমান হয়ে যান। অথচ মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় শত্রু ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ‘বিএনপি জোটে যেসব ইসলামি দল আছে, তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলছি আপনারা বিএনপিকে বর্জন করুন, না হয় মুসলিম জাহান ও মানবতার শত্রু ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশবিরোধী এ ষড়যন্ত্রের অংশীদার হিসেবে আপনারাও গণ্য হবেন।’
সংগঠনের সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ হারুনুর রশীদ, বলরাম পোদ্দার, হাসিবুর রহমান মানিক, এম এ করিম, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।