খোলা বাজার২৪, রোববার, ২২ মে, ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রত্যেক উপজেলায় সরকারি স্কুল-কলেজ নির্মাণ করা হবে।
আজ রোববার রাজধানীতে ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মেধা অন্বেষণ এই কারণে, আমরা বাংলাদেশটাকে গড়ে তুলতে চাই একটা উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে। আমরা স্বাধীন জাতি। আমার দেশ, স্বাধীন দেশ। এ স্বাধীনতা অর্জন করবার জন্য আমাদের মহান নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২৩ বছরের সংগ্রাম এবং নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।’
শিক্ষায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, এই শিক্ষা নীতিমালা গ্রহণের জন্য জাতির পিতা স্বাধীনতার পরপর ড. কুদরত-এ-খোদাকে দিয়ে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। তিনি ৭৪ সালে সেই রিপোর্টও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, তিনি তা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি।’
‘এরপর ৯৬ সালে এসে আমরা আবার একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করি এবং আমরা একটি শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করি। কিন্তু তা আর বাস্তবায়ন করতে পারিনি। ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতা থেকে চলে যাই।’
শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকারে এসেই আমরা সেই শিক্ষা নীতিমালা শুধু গ্রহণই করিনি, আমরা বাস্তবায়নও করে যাচ্ছি।’
‘বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়া, এটাই আমাদের লক্ষ্য। যেমন : আমাদের পাহাড়ি দুর্গম অঞ্চল আছে, চরাঞ্চল আছে, বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জে যেখানে হয়তো যাতায়াত এত সহজ না। সেই ধরনেরও জায়গা আছে। প্রত্যেক জায়গায় যাতে শিক্ষার আলো জ্বালা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় আমরা মডেল স্কুল যেমন করে দিচ্ছি। কিন্তু প্রত্যেকটা উপজেলায় একটা সরকারি স্কুল, সরকারি কলেজ আমরা করব। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত।’
‘যেসব এলাকায় কোনো সরকারি-স্কুল কলেজ নাই, আমরা তার একটা তালিকা ইতিমধ্যে করে ফেলেছি এবং সে অনুযায়ী আগে হচ্ছে, যেখানে যেখানে নাই, সেখানে করে ফেলা। তারপর উপজেলা বা ইউনিয়ন এগুলোর জনসংখ্যা, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা, সেটার হিসাব করে পরবর্তীতে আরো পদক্ষেপ নেওয়ার ইচ্ছা আমাদের আছে।’