Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
মানুষবিহীন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে ভারত
মানুষবিহীন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে ভারত

খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬: মানুষবিহনী ছোট মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযানের গবেষণার অংশ হিসেবে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। আজ সোমবার ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে শ্রীহরিকোটা এলাকায় ‘রিইউজেবল লাঞ্জ ভেহিকেল’ (আরএলভি-টিডি) নামক এই যানের পরীক্ষা চলে। সফল উৎক্ষেপণের পর মহাকাশযানটিকে সাগরে ভূপাতিত করা হয়।
বিবিসি জানায়, ভারতের মানুষবিহীন ছোট পরীক্ষামূলক আরএলভি-টিডি ছিল সাত মিটার দীর্ঘ। প্রায় দুই টন ওজের মাহাকাশযানটি উৎক্ষেপণের পর সাগরে ভূপাতিত হওয়ার আগে ৭০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করার কথা।
ভারতের মাহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পরীক্ষা চালানো আরএলভি-টিডি মহাকাশযানটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য ‘স্পেস শাটল’ ধরনের। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা দীর্ঘ সময় স্পেস শাটল ব্যবহার করেছে। এটি হলো এক ধরনের মহাকাশযান যা অপর মহাকাশযানকে মহাশূণ্যের কাছাকাছি নিয়ে যায়। স্পেস শাটলের কিছু অংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য তাই এটি মহাশূণ্যে যান পাঠানোর খরচ কমিয়ে দেয়।
২০১১ সালে নাসা স্পেস শাটল প্রকল্প বন্ধ ঘোষণা করে। পরে বিশ্বের অনেক দেশ স্পেস শাটলের গবেষণা শুরু করে। বর্তমানে মহাকাশযান গবেষণায় যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় কিছু প্রযুক্তি ব্যবসায়ী। টেসলার এলন মাস্ক নিয়েছেন মহাকাশযান প্রকল্প স্পেস এক্স। একই রকম প্রকল্প নিয়েছেন অ্যামাজানের মালিক জেফ বেজোস। ইউরোপ এবং জাপান, রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশেও মহাকাশযান নিয়ে গবেষণা চলছে।
বিবিসি জানায়, পরীক্ষামূলক আরএলভি-টিডি তৈরি করতে ইসরোর পাঁচ বছর সময় লেগেছে। আর এতে খরচ হয়েছে ১০০ কোটি রুপি বা এক কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যাঁর পরিমাণ দাঁড়ায় ১১৬ কোটি ৮০ লাখ ২৮ হাজার টাকা। পরীক্ষা সফলের পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহাকাশযান গবেষকদের শুভেচ্ছা জানান।
বিবিসি জানায়, মহাকাশ গবেষণায় বেশ উদ্যোগী হয়েছে ভারত। এ খাতে বেশ অর্থও খরচ করছে তারা। ২০১৩ সালে মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে যান পাঠানোই ছিল ভারতের বড় সাফল্য। আগামী এক দশকের মধ্যে পূর্ণ আকৃতির স্পেস শাটল তৈরির আশা প্রকাশ করেছেন ভারতের গবেষকরা।