খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তরুণ সমাজকে শৃঙ্খল ভেঙে সামনে এগিয়ে যেতে এবং অজানাকে জয় করতে কবি নজরুল পথ দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, জাতীয় কবি অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখতেন, তা বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া আজ এক বাণীতে এসব কথা বলেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নজরুল আমাদের প্রাণের কবি। মানবতা, সাম্য ও দ্রোহের কবি। আধুনিক বাংলা গানের বুলবুল। বাংলা সাহিত্যে তার আবির্ভাব ধূমকেতুর মতো।
তিনি বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বিদ্রোহী কবি নজরুল একাধারে ছিলেন গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, সম্পাদক ও অনুবাদক। কালজয়ী প্রতিভার অধিকারী এ কবি তার লেখনীর মাধ্যমে আমাদের সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িকতা ও জাতীয়তাবোধের মূর্ত প্রতীক। অত্যাচার, নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ। তার শিকল ভাঙার গানে জেগে উঠেছিল ঝিমিয়ে পড়া বাঙালি জাতি।
তিনি বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তার লেখনী এ উপমহাদেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নজরুলের অগ্নিঝরা কবিতা ও গান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিল অনন্ত প্রেরণার উৎস। শৌর্যবীর্য ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মন্ত্রে উজ্জীবিত কবির গান ‘চল চল চল’ বাংলাদেশের রণসংগীত। আজও যখন গণতন্ত্র ও মানবতা বিপন্ন হয়ে পড়ে, আমরা সাহস সঞ্চয় করি বিদ্রোহী কবির ছন্দ থেকে।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহের ত্রিশালে কবির বাল্যকাল কাটে। তিনি কুমিল্লা ও ঢাকায় থেকেছেন। মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ ও প্রীতিপূর্ণ আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। বাংলাদেশের প্রকৃতি, মানুষ, মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা তাকে গভীরভাবে আকর্ষণ করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করেন এবং তাকে সপরিবারে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব প্রদান করেন। এ মাটিতেই কবি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। প্রধানমন্ত্রী কবির ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।