Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

24খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬: ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের মতোই পৌর নির্বাচনেও আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তান্ডব চলছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।
আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচনী এলাকাগুলোতে শুধু রাত বিরেতে নয়, বরং দিনে দুপুরে সাধারণ ভোটারদের চলতে ফিরতে গা ছমছম করে। রক্তচোষা আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির কড়াইশুদ্ধ খেয়ে ফেলে এখন জনগণের হাড়গোড় চিবিয়ে খাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন খাঁচায় বন্দি মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ভোট চুরি, ভোট ডাকাতির এতো সব মহাযজ্ঞের পরও নির্বাচন কমিশন যেনো সরকারের খাঁচাবন্দী পাখি। শুধু সরকারের নির্দেশ পালন ছাড়া তাদের আর কিছু করার নেই।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, আব্দুল আউয়াল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম পটু, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দেশের ৯টি পৌরসভায় বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), যা চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, তৃতীয় ধাপের এ ভোটে নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও রায়পুরা, লক্ষ্মীপুরের সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, নোয়াখালীর সদর ও সেনবাগ, ফেনীর ছাগলনাইয়া, কক্সবাজারের টেকনাফ ও খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনের মতোই পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তান্ডব চলছে। এ সময় তিনি নোয়াখালী, ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন পৌরসভায় নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের নীতিই হলো দুর্নীতি, আর ঐতিহ্য হলো সহিংস সন্ত্রাস, এদের আরেকটি ঐতিহ্য হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জনগণের কাছে এরা মিথ্যা প্রতিশ্র“তি দিতে পারঙ্গম। সাংবিধানিক সকল বিধি বিধান তাদের নিকট গৌণ, মুখ্য হলো সন্ত্রাস ও রক্তপাত এবং প্রাণহানি আর এধরণের ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে তারা মানুষের সব বৃত্তিকে গ্রাস করে নিতে চায়। দেশের সকল বিরোধী দলগুলোর সভা সমাবেশের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণারোপের মধ্য দিয়ে কোনঠাসা করে রাখা এবং গণমাধ্যম এর ওপর চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে সাংবাদিকতার স্বাধীন স্বত্ত্বাকে ভুলুন্ঠিত করা হচ্ছে এজন্যই যে, এরা সন্ত্রাসী পরিকাঠামো নির্মান করে জনগণের ভোটাধিকারকে আটকিয়ে রাখা।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দু:শাসনের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে মানবাত্মার অবমাননার বিভিন্ন দিক। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিনা ভোটের নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় সিংহাসন দখলের পর তারা আরো বেশি মাত্রায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আর সেজন্যই আমরা দেখতে পাচ্ছি একের পর এক স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে এক পৈশাচিক রক্তের হোলিখেলা।