Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

38খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬: বাংলাদেশে চলমান হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাজ্য। গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় এ কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হুগো সয়্যার।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে হুগো সয়্যার বলেন, ‘বলা হয়, ধর্ম অবমাননার কারণে এসব হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। অন্যদিকে এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষকে দায়ী করেছেন। তিনি বলছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ব্রিটিশ সরকার একমত নয়।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি, সমস্যা আরো গভীরে।’
নিজের ভাষণের শুরুতেই সয়্যার ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুতে নিহত বাংলাদেশিদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও মতের দিক থেকে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পার্লামেন্ট সদস্য সিমন ডানজুক বলেন, ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্বাচনে প্রতারণায় বাংলাদেশ দ্রুতই ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। মন্ত্রী কি মনে করেন না, শেখ হাসিনা যেন যত দ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করেন এর জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন?’
বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রী সয়্যার বলেন, সংখ্যালঘু হত্যাসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড ২০১৫ থেকে বেড়েছে। নিহত হয়েছেন সমকামিদের অধিকার নিয়ে কাজ করা জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয়।
ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, ‘নিহতদের একজন তো বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর খালাত ভাই। এ কারণে এ ব্যাপারটি তারা সিরিয়াসলি নিচ্ছে। আমরা আমাদের এ উদ্বেগ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করছি।’
হুগো সয়্যার জানান, কেবল জুলহাজ ও তনয় নয়, নাজিমউদ্দিন সামাদ ও রাজশাহীতে রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ডও বেশ আলোচিত বিষয়।
ব্রিটিশ সরকারের কথাবার্তার কার্যকারিতা নিয়ে অ্যালেক্স কানিংহ্যাম নামে এক সদস্যের প্রশ্নের জবাবে হুগো সয়্যার বলেন, ‘আমরা কথা বলে যাচ্ছি। দাতাগোষ্ঠীর মধ্যে আমরা বৃহত্তম। ২০১৫-১৬ সালে আমরা ১৬২ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়েছি। এ কারণে আমাদের কথা সেখানে প্রভাব ফেলে।’
তবে বাংলাদেশের ব্যাপারে কমনওয়েলথ ভূমিকা নিতে পারে বলে জানান ব্রিটিশ মন্ত্রী।
অন্য এক সংসদ সদস্য লিসা ক্যামেরন ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে জানান, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ শিশু ও নারী পাচারের শিকার হয়।