খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০১৬: লজি-সেভেন আউটরিচ মিটিংয়ে যোগ দিতে জাপানের নাগোয়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজে করে নাগোয়ার শুবু সেন্ট্রাইয়ার বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার মিকি ইয়ামাদা, রাষ্ট্রাচার প্রধান কাওরু শিমাজাকি, আইচি প্রিফ্যাকচারের ডেপুটি গভর্নর হাজিমে নাকানিশি এবং জাপানে বাংলাদেশের হাই কমিশনার রাবাব ফাতিমা বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মতলুব আহমাদের নেতৃত্ব ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আক্তারুজ্জামান এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা হন শেখ হাসিনা।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তিন বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
চার দিনের সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
তিনি টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করবেন এবং জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
শুক্রবার সকালে জি-সেভেন আউটরিচ মিটিংয়ে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ ছাড়াও লাওস, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাপুয়া নিউ গিনি ও শাদের সরকার প্রধান এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপারসন জাপানের ইশে-শিমায় এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।
বিশ্ব অর্থনীতির সাত পরাশক্তির জোট জি-সেভেনের সম্মেলনের পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক আগ্রগতির বিষয়ে আলোচনার জন্য জোটের বাইরে থেকে বিভিন্ন দেশকে আলাদা বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। একেই বলা হচ্ছে জি-সেভেন আউটরিচ মিটিং।
ওই সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর নাগোয়া থেকে শনিবার দুপুরে টোকিও যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন করবেন তিনি।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং জাপানের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য সংস্থা জেইটিআর এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে।
রোববার সকালে জাপানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রাতরাশ বৈঠকের পর ওই সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হওয়ার কথা।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে রোববার সন্ধ্যায় টোকিও থেকে ঢাকার পথে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।