খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৮ মে ২০১৬: বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম রেজাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ইনস্টিটিউটে ঢুকে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ সময় আরো দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন নিহত রেজার সমর্থক-শিক্ষার্থীরা। নিহত রেজা বাউফল উপজেলার ঘড়িপাশা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুস ছত্তারের ছেলে।
ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আসাদুজ্জামান ফহিম ও মেহেদী হাসানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সাজ্জাতুল জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে রেজাউল করিম রেজা, আসাদুজ্জামান ফাহিম, মেহেদী হাসান কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহর বাসা থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিল। তারা ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে আসলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বহিরাগত সন্ত্রাসী জাহিদ, সাইদুল ও রাকিবসহ ১৫/২০ জন তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের চিৎকারে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে অন্য শিক্ষার্থীরা। তারা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরে রাত পৌনে ১ টার দিকে রেজাউল করিম রেজাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা দেন। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বেশ কিছু দিন আগে আমিরকুটির এলাকার জাহিদ ধারালো অস্ত্রসহ ক্যাম্পাসে এসে বেশ কিছু শিক্ষার্থীর কাছে চাদা দাবি করে। এসময় রেজার সমর্থকরা জাহিদকে হাতেনাতে ধরে বেধম মরাধর করে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
অপরদিকে রেজাকে হত্যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় মহানগর যুবলীগ সদস্য মেহেদী হাসানের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এ ব্যপারে যুবলীগ সদস্য মেহেদী হাসান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (কোতয়ালি) আজাদ রহমান জানান, পূর্ববিরোধের জের ধরে ক্যাম্পাস এবং বহিরাগত ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ রেজা ও তার সহযোগীদের কুপিয়ে জখম করে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মেহেদী নামের যুবলীগ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। তা ছাড়া পরবর্তী অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।