খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৮ মে ২০১৬: পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্র দখল ও সন্ত্রাসের অভিযোগ করে বিএনপি বলেছে, এই নির্বাচন নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।
আজ শনিবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কথা বলেন। তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
এদিকে নির্বাচনে নানা অনিয়মের ব্যাপারে দলের বক্তব্য তুলে ধরতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল দুপুরে নির্বাচন কমিশনে যায়।
রিজভী বলেন, ‘বরাবরের মতো আজকেও ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার থেকেই উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আশঙ্কা পুরো মাত্রায় বিরাজমান। সরকারি দলের ক্যাডারদের রক্তাক্ত সহিংসতা, অনিয়ন্ত্রিত উচ্ছৃঙ্খলতা ও প্রাণহরণের বিভীষিকায় এই দফাতেও সেই “ট্র্যাডিশন” সমানে চলেছে। এ দেশের সাধারণ মানুষ সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে তাদের মত দানের প্রশ্নে। ভোটারদের নিজের ভোটটি নির্ভয়ে-নির্বিঘেœ-নির্ঝঞ্ঝাটে দেওয়ার পরিবেশ এখন ইতিহাসের পাতায় চলে গেছে।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী পরিবেশ ও প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ কলঙ্কিত করে ফেলেছে। নির্বাচন কমিশন তার স্বাধীন সত্তার প্রকরণ পুরোপুরি অগ্রাহ্য করেছে। নির্বাচন কমিশন যেন ক্ষমতাসীনদের একটি ক্লাব ঘর। নির্বাচন কমিশনের কলঙ্কের তীব্রতা এতটাই বেশি যে তা আর ছাইচাপা আগুনের মতো লুকানো থাকছে না।
রিজভী অভিযোগ করেন, কুমিল্লার হোমনা; চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া, পটিয়া; ফেনীর দাগনভূঞা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভোটকেন্দ্র দখল করে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, আগামী ৪ জুন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডার ও পুলিশ সদস্যরা মিলে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছেন। আওয়ামী লীগের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী প্রতিদিন বিএনপিসহ বিরোধী নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে থানার পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও সাদাপোশাকধারী পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিলে সোজা গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হবে—এমন হুমকি দেওয়া হচ্ছে।