খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৮ মে ২০১৬: শিক্ষার জন্য ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ যোগান দিতে সরকার ব্যাংক ঋণের গ্যারান্টি হিসেবে ‘নিরাপত্তা তহবিল’ গঠনের চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেন, ‘’আমাদের অর্থনীতি অনেক এগিয়ে গেছে। দারিদ্র্য অবস্থার উত্তোরণ ঘটিয়ে আমরা মধ্যম আয়ের দিকে যাচ্ছি। এখন আমরা ঋণ করে শিক্ষা গ্রহণের কথা ভাবতে পারি। এ জন্য ব্যাংক ঋণের গ্যারান্টি দিতে একটি নিরাপত্তা তহবিল গঠনের চিন্তাভাবনা রয়েছে।’’ শনিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এ কে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী,বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌহিদুর রহমান, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরী, পরিচালনা পরিষদের সদস্য মো. সানাউল্লাহ সাহিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘’২০০৯ সালে মহাজোট সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন বিদ্যুতের চরম সংকট ছিল। এ জন্য আমরা প্রথমদিকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়নের প্রতি বেশি নজর দেই। এ কারণে বিদ্যুৎ সংকট উত্তোরণও সম্ভব হয়েছে। এখন আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’’ আগামী অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়বে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে এ কে আজাদ সব ব্যাংকের জন্য শিক্ষা ঋণ বাধ্যতামূলক এবং ব্যাংক ঋণের গ্যারান্টি হিসেবে ব্যাংকের সিএসআরের সহায়তায় একটি ‘নিরাপত্তা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব দেন। ব্যাংকের সিএসআর এবং সরকার যৌথভাবে এই তহবিল গঠন করতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
আজাদ বলেন, অর্থঋণ আদালতের মাধ্যমে খেলাপি ঋণের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য আগামী বাজেটে বিশেষ আদালত গঠনের প্রস্তাব করেন তিনি। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক এই সভাপতি বলেন, খেলাপি ঋণ কমে আসলে ব্যাংক ঋণের সুদহার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশে আনা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অস্বচ্ছল পরিবারের ৫০০ জন মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃত্তির চেক হস্তান্তর করা হয়। ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে ২০ হাজার টাকা এবং এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে ২৫ হাজার টাকা করে এককালীন বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৬ সাল থেকে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক এই বৃত্তি প্রদান করে আসছে।