Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

30খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৮ মে ২০১৬: দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মমতা ব্যানার্জি। তার নামের পাশে ‘জননেত্রী’, ‘অগ্নিকন্যা’ বিশেষণগুলো বসানো হয়। মানুষ মমতা সম্পর্কে এমন বেশ কয়েকটি তথ্য এখানে প্রকাশ করা হলো, যেগুলি অনেকেই হয়তো জানেন না।
১. ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে মমতা ব্যানার্জির। ইসলামিক হিস্ট্রিতে রয়েছে মাস্টার ডিগ্রি।
২. তৈলাক্ত খাবার বা ভাজাভুজি খেতে বিশেষ পছন্দ করেন না মমতা। ‘দিদি’ খেতে পছন্দ করেন মুড়ি, চা ও চকোলেট। ঘনিষ্ঠ মহলে হালকা মেজাজে আড্ডা দিতে বসলে মুড়ির সঙ্গে আলুর চপ খেতে ভালবাসেন মমতা।
৩. প্রতিদিন ট্রেডমিলে অন্তত ৫-৬ কিলোমিটার হাঁটেন মমতা। অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার লম্বা করিডর ধরে সহকর্মী, সাংবাদিকদের সঙ্গে হাঁটেন মমতা। গল্প করতে করতে একসঙ্গে ১০ কিলোমিটারও হেঁটে ফেলেন মমতা।
৪. সাদা তাঁতের শাড়ি পরতে ভালবাসেন মমতা ব্যানার্জি, সঙ্গে একরঙা পাড়। এই ধরনের শাড়ি তৈরির জন্য জনপ্রিয় হুগলির ধনেখালি।
৫. পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও দক্ষিণ কলকাতার ঘিঞ্জি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে টালির বাড়িতে থাকেন মমতা। অল্প বৃষ্টিতেই তার বাড়ির সামনে পানি জমে যায়। তখন মমতাকে দেখা যায় বাড়ির সামনে পাতা ইঁটের উপর পা রেখে হাঁটতে।
৬. প্রকৃতি বিশেষ প্রিয় মমতার। সময় পেলেই তাই দার্জিলিংয়ের পাহাড় বা মেদিনীপুরের জঙ্গলে ছুটে যান মমতা।
৭. নেচার ফটোগ্রাফি মমতার হবি।
৮. সেন্ট্রাল পার্কের সৌন্দর্যায়ন মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত।
৯. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গান শুনতে ভালোবাসেন। সময় পেলেই শোনেন রবীন্দ্রসঙ্গীত, পাঠ করেন নজরুলের কবিতা।
১০. বীরভূমে মমতার মামারবাড়ি। ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে মামারবাড়ি গেলেই সেখানকার ধানক্ষেতে খেলা করতেন আজকের মুখ্যমন্ত্রী।
১১. পূর্ণ সময়ের রাজনীতিতে আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়াও তিনি কখনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, কখনো প্রাইভেট টিউটর এমনকী সেলসগার্লের কাজও করেছেন।
১২. দুঃসময়ে যারা পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাদের কখনও ভোলেন না মমতা। মমতার রাজনৈতিক কেরিয়ারে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিশেষ ভূমিকা ছিল। সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায় আজ ফের পূর্ণমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন।
১৩. মমতা বহু কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধ, এমনকী উপন্যাসও লিখেছেন। তিনি একজন চিত্রশিল্পীও বটে। তার আঁকা ছবি বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকার পুরোটাই তিনি দেন পার্টি ফান্ডে।
১৪. মুখে মুখে ছড়া তৈরি করতে পারেন এই জননেত্রী। বিভিন্ন জনসভায় কোনওরকম স্ক্রিপ্ট ছাড়াই তাই বিরোধীদের নিশানা করে দুই-চার লাইনের ছড়া কাটতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ছড়া শুনে প্রশংসা আর হাততালিতে ভরিয়ে দেয় উপস্থিত জনতা।
১৫. বাংলার লোকশিল্পের প্রতি মমতার আন্তরিক অনুরাগ রয়েছে।
১৬. মমতা প্রকৃত অর্থেই একজন টেক-স্যাভি। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যান মমতা। ফেসবুকে লাইভ চ্যাট করেন, নিয়মিত টুইট করেন। বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি ফেসবুক ৩৬০ টুল ব্যবহার করেছেন।