খোলা বাজার২৪, রোববার, ২৯ মে ২০১৬: খেলা নিয়ে বাজি ধরা এখন আর নতুন কোনো বিষয় নয়। হরহামেশাই মানুষ বাজি ধরছেন খেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এতে কেউ কেউ হয়তো লাভবান হন, তবে বেশিরভাগই সবকিছু হারিয়ে হন নিঃস্ব। তবে কিছু মানুষ এই বাজি ধরার ফাঁদে খুব মারাত্বকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েন। আর ফলও হয় ভয়ঙ্কর।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের রবীন্দ্র সিংহ তেমনই একজন মানুষ। ভয়াবহভাবে তিনি আসক্ত ক্রীড়া বেটিংয়ে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) শুরু থেকেই তিনি শুরু করেন বাজি ধরা। অন্যদিকে শেয়ার মার্কেটেও তার প্রচুর টাকা লাগানো ছিল আগে থেকেই। ফলে একটা সময় শেষে দুই ক্ষেত্রেই বাজেভাবে লোকসান হয় তার।
এরপরও তিনি জুয়ার নেশা ছাড়তে পারেননি। এক পর্যায়ে তিনি জুয়াড়িদের কাছে নিজের স্ত্রীকেও বাজি রাখেন। আর তিনি সেই বাজিতেও হেরে যান।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
ঘটনাটি পরে প্রকাশ্যে আসে যখন ওই লোকের স্ত্রীকে জুয়াড়িরা উত্যক্ত করা শুরু করে। পরে রবীন্দ্রর স্ত্রী বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন।
সেখানকার স্থানীয় পুলিশ জানায়, আইপিএলে হামেশাই বাজি খেলত রবীন্দ্র তার সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে। একের পর এক বাজিতে হেরে শেষে স্ত্রীকেও বাজি রাখেন তিনি।
রবীন্দ্রর স্ত্রী বলেন, ‘আইপিএলে বেটিংয়ে বাড়ির সব জিনিসপত্রই তিনি (রবীন্দ্র) হারিয়েছেন। কিন্তু তাকেও যে বাজি রাখবেন তা কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি তিনি।’
ওই ঘটনার পর থেকে রবীন্দ্র পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।