Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

31খোলা বাজার২৪, রোববার, ২৯ মে ২০১৬: ব্যাটে-বলের লড়াই জমিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নবম আসরের পর্দা নামার সময় গড়িয়ে এসেছে। রোববার মুস্তাফিজুর রহমানদের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ফাইনাল দিয়ে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে আইপিএল। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে শিরোপা নির্ধারণী মহারণটি।
বিরাট কোহলি বা ডেভিড ওয়ার্নারের দানবীয় ব্যাটিং, এবি ডি ভিলিয়ার্স বা ভুবনেশ্বর কুমারের দ্বৈরথ পাশে সরিয়ে রেখে বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনায় আপাতত মুস্তাফিজুর রহমান। সবার একটাই জিজ্ঞাসা মুস্তাফিজ ফাইনালে খেলছেন তো? কাটার মাস্টারকে ছাড়া হায়দ্রাবাদ দল চিন্তাই করতে পারে না। তবে পুরো টুর্নামেন্টে আলো ছড়িয়ে বাঁচা-মরার অঘোষিত সেমিফাইনালেই যে মাঠে নামা হয়নি মুস্তাফিজের। আগে থেকেই বয়ে বেড়ানো চোট খানিকটা শঙ্কায় ফেলে দেওয়ায় সানরাইজার্সদের গত ম্যাচে চলতি আসরে প্রথমবারের মত বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে মুস্তাফিজকে।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কোয়ালিফায়ারে নামতে দেয়নি। তবে কাটার মাস্টারকে ফাইনালে পেতে মরিয়া হায়দ্রাবাদ। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে মুস্তাফিজকে খেলানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবে তার দল। এক আসরে ১৫ ম্যাচে ৬.৭৩ ইকোনমি রেটে ১৬ উইকেট নিয়ে চমক জাগানো বোলারকে কোন দলই-বা বেঞ্চে রেখে মাঠে নামতে চাইবে। তাছাড়া শেষের ওভারগুলোতে মুস্তাফিজের অভাব গত ম্যাচেই ভালোভাবে বুঝেছে হায়দ্রাবাদ।
হায়দ্রাবাদ অবশ্য দল হিসেবেই পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলে এসেছে। প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে টেবিলে তিনে থেকে। শুরুতে ওয়ার্নার-শেখর ধাওয়ান, মাঝে যুবরাজ সিং-ময়েজেস হেনরিক্স দলকে টেনে যাচ্ছেন নিয়মিতই। ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে মুস্তাফিজ, ভুবনেশ্বর কুমার, বারিন্দ্রর স্রানের পেস আক্রমণও। শেষ হাসি হাসতে হায়দ্রাবাদ তাই আরেকবার ঠিকঠাক জ্বলে উঠতে চাইবে।
বেঙ্গালুরুর অবস্থা টুর্নামেন্টের মাঝে খানিকটা খারাপ গেলেও শেষ দিকে টানা জয়ের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে দলটি। টেবিলের শীর্ষ দল গুজরাট লায়ন্সকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট কেটেছে তারা। শুরুতে অধিনায়ক কোহলি-ক্রিস গেইল, পরে একে একে ডি ভিলিয়ার্স, লোকেশ রাহুল, শেন ওয়াটসন, শচিন বেবি, যোগেন্দ্র চাহাল, বরুণ অ্যারনরা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে যাচ্ছেন। ঘরের মাঠে শিরোপার হাসি হাসতে আরেকবার জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় তারা।
ফাইনালে লড়াইয়ের মাঝে খণ্ড-লড়াইও থাকছে। সেটা দুই দলের দুই অধিনায়ক কোহলি ও ওয়ার্নারের মধ্যে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম মুখোমুখিতে কোহলি ৭৫ করেছিলেন, কিন্তু ওয়ার্নার ৫৮ রান করেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি। পরের দেখায় কোহলিকে ১৪ রানে ফিরিয়ে ওয়ার্নার ৯২ রান করে হায়দ্রাবাদকে জিতিয়েছিলেন। অবশ্য দুজনে টুর্নামেন্ট জুড়েই সফল। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলি ১৫ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটির সঙ্গে অবিশ্বাস্য ৮৩.৫৪ গড়ে ৯১৯ রান করে শীর্ষে। আর ওয়ার্নার ১৬ ম্যাচে ৮ ফিফটিতে ৫৯.৯২ গড়ে ৭৭৯ রান করে দুইয়ে। দুজনে তাই শেষবার জ্বলে ওঠার অপেক্ষায়। সব মিলিয়ে ফাইনালে রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ের অপেক্ষাই করতে পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।