Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

19খোলা বাজার২৪, বুধবার, ০১ জুন ২০১৬: জনগণ এবং গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করে ‘সঠিক প্রক্রিয়ায়’ আন্দোলন করতে পারলে সাত দিনেই সরকার পতন সম্ভব বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ।
তবে এজন্য যারা আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারবে, সেই ধরনের ‘যোগ্য নেতৃত্ব’ আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন তিনি।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সবুজ বাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমে’র ৩য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অবদানের জন্য দেশের বিশিষ্ট ১৫ জন নাগরিককে বিশেষ সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
হান্নান শাহ বলেন, সরকার পতনের জন্য তিন-চার মাস আন্দোলনের দরকার নেই। সঠিকভাবে আন্দোলন করতে পারলে সরকার পতনে সাত দিনের বেশি সময় লাগবে না। তবে এ আন্দোলনে জনগণ ও মিডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে করতে হবে এবং যোগ্য নেতৃত্ব আনতে হবে।
ক্ষমতায় থাকতে সরকার দেশের স্বার্থ বিদেশের কাছে বিলিয়ে দিচ্ছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশ সার্বভৌমত্ব হারাচ্ছে। মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলা যাচ্ছে না। কেউ বললেই তার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। তাকে কারাগারে যেতে হয়, না হলে গুম-খুনের শিকার হতে হয়।’
সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, মাহমুদুর রহমান সত্য কথা বলায় তাদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন হান্নান শাহ।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ইসির ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রশাসন মিলে জনগণের ভোট চুরি করেছে। ভবিষ্যতে জনগণ যাতে ভোটের আগ্রহ না দেখায় সেই কাজ করেছে সরকার।
গণমাধ্যম সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংবাদপত্র একেবারেই দায়িত্ব পালন করছে না। এখন সংবাদ পাওয়া সহজ। কিন্তু জনগণ সঠিক সংবাদ পাচ্ছে না। সরকার ও তথ্যমন্ত্রীর চাপে মিথ্যা সংবাদ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’
সবুজ বাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক আব্দুল্লাহিল মাসুদুদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জাগপা’র সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির চেযারম্যান এম. এ তাহের চৌধুরী।