খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ০২ জুন২০১৬: স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে আন্দোলনরত বেকার নার্সদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলনকারীরা বুধবার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকলে রাতে তাদের তুলতে যায় পুলিশ।
আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে ইট ছুড়লে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে পুলিশের দাবি। অন্যদিকে বেকার নার্সদের দাবি, পুলিশ লাঠি ও জলকামান নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়।
পিএসসির মাধ্যমে না করে আগের মতো জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুযেট নার্সেস সোসাইটি ও বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন।
এক পর্যায়ে তারা অনশন শুরু করলে গত ১ মে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে তাদের সেই কর্মসূচি ভাঙিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
কিন্তু সেই দাবি পূরণ হচ্ছে না দেখে সম্প্রতি আবার আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থী ও বেকার নার্সরা। গত সোমবার তারা সচিবালয়ে মিছিল নিয়ে এগোলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ চেয়ে বুধবার বিকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নাহিদা আক্তার বলেন, “রাত ৮টার দিকে পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে আমাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।”
পুলিশের লাঠির আঘাতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে মনোয়ার, আব্দুল মোমিন, শিল্পী, সাবিনা ও আয়েশা সিদ্দিকীর নাম জানা গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়রি সামনে র্নাস-পুলশিরে সংর্ঘষ ২এ বিষয়ে ডিএমপির ধানমণ্ডি জোনের সহকারী কমিশনার রুহুল আমীন সাগর বলেন, “বিক্ষোভকারীদের থামাতে গেলে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট মারতে শুরু করে।”
আন্দোলনকারীদের ইটের আঘাতে তিনিসহ ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে তিনি এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
আন্দোলনকারী নাহিদা বলেন, “২০১১ সালে নার্সের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার পর ২০১৩ সালে ৪ হাজার ১০০ জন নার্সকে ব্যাচভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু এখন সরকার পিএসপির মাধ্যমে এই নিয়োগ দিতে চাচ্ছে।
“আমরা শুধু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। কিন্তু মন্ত্রী বার বার আশ্বাস দিয়েও দেখা করতে দিচ্ছেন না।”