খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ০৩ জুন ২০১৬ : নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত গঠনের ওপর গুরুত্বরোপ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একইসঙ্গে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ বিএনপি যাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারে, সেজন্য বিএনপির নবনির্বাচিত নেতাদের শপথ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে শেষে এসব কথা জানান বিএনপির মহাসচিব।
গত ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর তিন ধাপে এখন পর্যন্ত ৪০ জন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া সেই যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে এ বৈঠক হলো। বেলা ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত বৈঠক চলে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকে ভবিষ্যৎ আন্দোলনকে ঘিরে দলকে আরো শক্তিশালী করা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি যে নেতৃত্ব দেবে, সংগঠনকে সেভাবে গড়ে তোলার শপথ নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির এ মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সমস্ত স্তম্ভকে ভেঙে দিয়েছে। দেশে একটি স্বৈরতান্ত্রিক অবস্থার সৃষ্টি করেছে।’
এই অবস্থায় সংকট উত্তরণে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলেল অংশগ্রহনমুলক নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার অবিলম্বে এ ধরনের নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে দাবি আদায়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। সেজন্য বিএনপির যে অতীত ভূমিকা সেটিকে সামনে নিয়ে আসতে হবে, নেতা-কর্মীদের নতুন করে উজ্জীবিত করতে হবে। সে লক্ষ্যেই আজকের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দলের সাংগঠনিক কর্মকা- ভবিষ্যতে আরো কীভাবে উন্নত ও বেগবান করা যায়, সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বাজেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে খুব শিগগিরই দলের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন-অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, আব্দুল আউয়াল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।