Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

অবৈধ সরকারে প্রস্তাবিত বাজেট জনগনের পকেট কাটার বাজেট : গয়েশ্বরখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ০৩ জুন ২০১৬ : বিএনপি‘র স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, অবৈধ সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট জনগনের পকেট কাটার বাজেট। এই বাজেট জনগনের কোন কল্যএণ আসবে না। উন্নয়নের নামে বাজেটে বরাদ্দ জনগনের কাছে পৌছবে না। উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ দিয়ে সরকারী দলের নেতা-কর্মীদের পকেট ভারি হবে। তিনি বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছেই খাঁটি সোনার মত সম্মানিত। দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি থেকে তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ মুক্ত।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বন্ধু দল আয়োজিত ‘কীর্তিমান অমর জিয়া ও আজকের বাংলাদেশ’- শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। বন্ধু দলের আহ্বায়ক শরীফ মোস্তফা জামান লিটু‘র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপি‘র সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় পার্টি (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন, এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ইসমাইল তালুকদার খোকন, এইচ.এম. আমিনুর রহমান প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী বৃহত রাষ্ট্র। আমরা তাদের সাথে সৎ প্রতিবেশী সুলভ বন্ধুত্ব চাই। কোন প্রকার প্রভুসুলভ আচরনের মধ্য দিয়ে বন্ধুত্ব হয় না। বন্ধুত্ব হতে হবে সমমমর্যাদার ভিত্তিতে। জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোন বন্ধুত্ব হবে না, হতে পারে না। তিনি বলেন, শহীদ জিয়া জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে পরাশক্তির কাছে মাথা নত করেননি বলেই তাকে জীবন দিতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সরকারের এই ষড়যন্ত্রের সাথে দলের ও জাতীয়তাবাদী শক্তির ভিতর লুকায়িত সহযোগি কারা তাদের খুজে বের করে প্রতিরোধ করতে হবে। দলের ভিতর লুকায়িত লুটেরাদের স্বার্থ আর সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমাদের দায়িত্ব জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রক্ষা করা।
শফিউল আলম প্রধান বলেছেন, শহীদ জিয়ার আদর্শ বাদ দিয়ে তার উপর আলোচনা হতে পারে না। সততা আর দেশপ্রেমের উজ্জল প্রতীক হচ্ছেন শহীদ জিয়া। শহীদ জিয়া ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেছেন। আপোষ করেননি, মাথা নত করেননি। তিনি বলেন, বাজেটে কালো থাকা সাদা করার চেষ্টা করলেও বর্তমান কালো সরকার কখনো সাদা হতে পারবে না।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, শহীদ জিয়া মৃত্যুবরণ করেছেন কিন্তু পরাজিত হনননি। আজ জাতীয়তাবাদী শক্তি তাঁর প্রদর্শিত পথ ভুলে ফেলার কারণে বার বার পরাজিত হচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদ আর আধিপত্যবাদী শক্তির সাথে আপোষ করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা ভুল। শহীদ জিয়ার রাজনীতিই হচ্ছে আধিপত্যবাদী আর সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে অব্যাহত সংগ্রাম। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগের পুনঃ জন্মদাতা হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। কারণ ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই আওয়ামী লীগকে হত্যা করেছিলেন। শহীদ জিয়ার চত্রি হননের পূর্বে আওয়ামী নেতাদের বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে।
আহসান হাবিব লিঙ্কন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যাকে মনে রাখতে হবে কাঁর পিতাকে আওয়ামী লীগাররাই হত্যা করেছিল। তাই তাঁর উচিত প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে দেশের কল্যাণে গণতান্ত্রিক রাজনীতি করা। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যে দিন গ্রেফতার করবে সেদিনই বিএনপির ১০ লক্ষ নেতা-কর্মীকে স্চ্ছোয় কারাবরণ কতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে কঠিন মূল্য দিতে হতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে শরীফ মোস্তফা জামান লিটু বলেছেন, শহীদ জিয়াকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা সম্ভন নয়। তারা ইতিহাস থেকে শহীদ জিয়াকে বাদ দিতে চান তারা জাতীয় বিশ্বাস ঘাতক।