খোলা বাজার২৪, শনিবার, ০৪ জুন ২০১৬ : ইরানের ছাবাহারের পরে বাংলাদেশেও নৌবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে ভারত। ইতিমধ্যেই দেশটির জাহাজ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধিদল ঢাকা ঘুরে গেছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় জাহাজ, মহাসড়ক ও সড়ক যোগাযোগমন্ত্রী নিতিন গডকড়ির বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও আনন্দবাজার এ তথ্য জানিয়েছে।
নিতিন গডকড়ি বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে বেশ আগ্রহী। জাহাজ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সরকার বন্দর নির্মাণের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে বর্তমানে আলোচনা চালাচ্ছে।’
ইরানের ছাবাহার বন্দর নির্মাণের চুক্তি সই হওয়ার পর ভারতের লক্ষ্য এখন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে একইভাবে বন্দর তৈরি করা। বন্দরগুলো আপাতভাবে বাণিজ্যিক হলেও প্রয়োজনে এই এলাকায় দেশের কৌশলগত অবস্থান মজবুত করতেও সেগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
ভারতের বন্দর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশেও ভারত সস্তায় গ্যাস পেতে পারে। এখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ছে ভারতীয় সংস্থা। এর সঙ্গে বন্দর তৈরি করতে পারলে ভারতীয় সংস্থাগুলো আরো বেশি বাণিজ্য করতে পারবে।
গডকড়ি জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বছরে ৬০০ কোটি টন পণ্য সড়কপথে পরিবহন করা হয়। সেই পণ্য যাতে নদী ও সমুদ্রপথে নিয়ে যাওয়া যায় সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এর ফলে কলকাতা, হলদিয়া এবং সাগর বন্দর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হবে।
ছাবাহারের বাণিজ্যিক লাভের কথাও ব্যাখ্যা করেছেন গডকড়ি। তিনি জানান, ইরানের ওই বন্দরের কাছেই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হচ্ছে। সেখানে নালকো কারখানা তৈরি করবে। ইরান ইউনিটপ্রতি মাত্র ২ মার্কিন ডলারে গ্যাস দিতে সম্মত হয়েছে। সস্তায় গ্যাস পাওয়া গেলে সেখানেই নালকোর মতো সংস্থা ইউরিয়া তৈরি করবে। সেই ইউরিয়া আনা হবে গুজরাটের কান্ডলা বন্দরে। এর ফলে সারে ভর্তুকির ক্ষেত্রে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ভারত সাশ্রয় করতে পারবে ।
তিনি বলেন, ‘ইরানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ অনেক সস্তা। কিন্তু আমাদের দেশে গ্যাসসংকট রয়েছে। এ ছাড়া ছাবাহার বন্দরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে ভারতীয় পণ্য রপ্তানি সম্ভব।’