খোলা বাজার২৪, শনিবার, ০৪ জুন ২০১৬ : ঠাকুরগাঁও দিনাজপুর মহাসড়কে আবারো যেন ডাকাতির ধুম পরেছে। গতকাল শুক্রবার রাত আনুমানিক ১২ টা ৪৫ মিনিটে ঠাকুরগাঁও দিনাজপুর মহাসড়কে ডাকাতের ক্ষপ্পরে পরে সেলিম রেজা (সফি) নামক এক ব্যক্তি। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সেলিম রেজা (সফি)-পিতাঃ ফজলুর রহমান সাংÑ সালন্দর চৌধুরী পাড়া। তার শাশুরী অসুস্থ হওয়ায় ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে দিনাজপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে রেফার্ট করে। শহরের স্থানীয় একটি অ্যাম্বুলেসে করে তার শাশুরী ও বাড়ির লোকজন দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এর কিছুক্ষন পর সেলিম রেজা (সফি) ও রবিউল ইসলাম (রবিউল) (১২৫ সিসি ডিস্কোভারি, রং-কালো, রেজি নং- উঐঅকঅ গঊঞজঙ-ঐঅ-২১-৮৬৭৮) মোটরবাইক নিয়ে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু বিধিবাম বলাকা উদ্দান পার হয়ে এক কিলোমিটার দূরে শসান ঘাট নামক স্থানে এক দল ডাকাত বাঁশ দিয়ে তাদের পথ রোধ করে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের দু’জনকে কে এলোপাথারি দেশিও লাঠি শোটা দিয়ে মারপিট শুরু করে। তারা জীবন রক্ষাথে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে এর ৫মিনিট পর সঙ্গিও রবিউল মুঠো ফোনে ঘটনা জানায় আমাদের সাংবাদিক কামরুল হাসানকে। তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে মুঠোফোনে রাত ১টা ৮মিনিটে সদর থানার অফিসার ইন্চার্জ মশিউর রহমানকে বিষয়টি অবগত করেন। এর ১০মিনিটের মধ্যেই রাতে ডিউটি রত এস আই মর্তুজা তার সঙ্গিও ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে এসে উপস্থিত হয়ে সাথে সেলিম রেজা (সফি) কে নিয়ে আশেপাশের ৪-৫ কিলোমিটার এলাকার সমস্ত রাস্তাগুলি খোজাখুজি শুরু করলে দুই জায়গায় দুটি বাইসাইকেল সহ দু’ব্যক্তিকে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসা বাদে জানা যায়, তাদের বাড়ি ঐ এলাকায়। অন্যদিকে সফি জানায়, হাইওয়ে পুলিশকে আমি দেখেছি খোচাবাড়িতে চায়ের আড্ডায়। পুলিশ ঐ এলাকায় থাকলে ঘটনা ঘটতো না। এই রিপোর্ট পর্যন্ত থানায় জিডির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা যায়। সফি আরও জানায়, গত শুক্রবার ৩ই জুন সড়ক দুর্ঘটনায় যে ১৪ জনের প্রাণ গেছে তাদের মধ্যে একজন আমার চাচাতো ভাই পারভেজ আলম, আর একজন প্রতিবেশী ভাতিজা হাফিজুল। অন্যদিকে শাশুরী হার্ট স্ট্রোক জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরছে।