খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০১৬: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা শহরে আনোয়ারা ক্লিনিকের মালিক নজরুল ইসলাম (৪১) কে প্রকাশ্যে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সস্ত্রাসীরা। সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সাইভাঙ্গা মাঠে প্রকাশ্যে তাকে হত্যা করা হয়। নজরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের ছেলে। ২০ বছর আগে তার বাবকেও সন্ত্রাসীরা নিজ বাড়ির মধ্যে গুলি ও গলাকেটে হত্যা করে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, দুপুরে ক্লিনিক মালিক নজরুল ইসলাম তিওরবিলা গ্রামে খাবার খেতে আসেন। দুপুরের খাবার শেষ করে তিনি মটরসাইকেলে হরিণাকুন্ডু শহরে আসছিলেন। তিনি তিওরবিলা গ্রামের সাইভাঙ্গা মাঠের মধ্যে পৌছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে প্রথমে গুলি ও পরে গলাকেটে হত্যা করে।
খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে। পুলিশের একটি সুত্র জানায়, স্থানীয় খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিহত নজরুল নৌকার সমর্থক মুস্তাফিজুর রহমান রুনুর পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে মুস্তাফিজুর রহমান জয়লাভ করেন। এ কারণে তার প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী লাল মিয়া নাখোশ ছিলেন। জানা গেছে, ২০ বছর আগে নজরুল ইসলামের বাবা লুৎফর রহমানকেও একই কায়দায় হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
চেয়ারম্যান লুৎফর হত্যা মামলায় ১৭ বছর সাজা খেটে তিওরবিলা গ্রামের ঝড়– মন্ডলের ছেলে স্থানীয় ওল্টু বাহিনীর প্রধান ওল্টু জেল থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী লাল মিয়ার পক্ষে ভোট করেন। পুলিশের ধারণা পুর্বের শত্রুতা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের ধরে ক্লিনিক মালিক নজরুলকে হত্যা করা হতে পারে। এদিকে ১৫ বছর আগে দায়ের করা একটি অপহরণ মামলায় আত্মসমর্পন করে জেলে যান নিহত নজরুল। দুই মাস আগে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে নৌকার পক্ষে ভোট করেন।
পুলিশের ধারণা তারা বাবার হত্যাকারীরাই তাকে হত্যা করেছে। আলমডাঙ্গা থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, ঘটনাস্থল আমার থানা থেকে অনেক দুর। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।