Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

mir-kashem-aliখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০১৬: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে তাঁকে তা পড়ে শোনানো হয়।
এসময় তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মীর কাশেম বলেন, স্বজন ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে রায়ের রিভিউ চেয়ে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা মীর কাসেমের মৃত্যু পরোয়ানা গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুরের কারাগারে আসে। রাতে তাঁকে আর ওই পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়নি। আজ সকাল সাতটার দিকে তাঁকে তা পড়ে শোনানো হয়। এ সময় তাঁকে অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলেন।
কারাসূত্র জানায়, মীর কাসেম কারা কর্মকর্তাদের বলেছেন, স্বজন ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে রায়ের রিভিউ চেয়ে আবেদন করবেন তিনি।
মীর কাসেমের ছেলে আইনজীবী মীর আহম্মেদ বিন কাসেম বলেন, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি পাওয়া যায়নি। অনুলিপি হাতে পেলে বাবার (মীর কাসেম) সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ আবেদন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মীর কাসেমের ফাঁসি বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় গতকাল প্রকাশিত হয়। এরপর তাঁর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে মীর কাসেম আলীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সন্ধ্যা সাতটার সময় পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপির সঙ্গে এই পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
এর পর আইন অনুসারে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে মৃত্যু পরোয়ানাটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
তার বিরুদ্ধে আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে মীর কাসেমের আপিল আংশিক মঞ্জুর করে ৪, ৬ ও ১২ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর ২, ৩, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আপিল নাকচ করে ট্রাইব্যুনালের রায়ই বহাল রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগে হত্যার দায় থেকে এই জামায়াত নেতা অব্যাহতি পেলেও ১১ নম্বর অভিযোগ সর্বোচ্চ সাজাই বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ২৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ আপিল মামলার রায় প্রদানকারী পাঁচ বিচারপতি রায়ে স্বাক্ষরের পর তা প্রকাশিত হয় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে।