খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৮ জুন ২০১৬: পুরান ঢাকার নিম্ন আদালতে দিন দিন মামলার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। গত পাঁচ বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৬ মাসে এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশ মামলাও দায়ের করা হয়নি।
থানা থেকেও সে হারে আদালতে মামলা আসছে না। আর এতে অলস সময় কাটাচ্ছেন আদালতের দায়িত্বরত পুলিশ, আইনজীবী ও কর্মচারীরা।
আদালতের জিআর শাখা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে মামলা হয়েছিল প্রায় ১৫ হাজার, ২০১৫ সালে প্রায় ১৬০০০। এ বছরের জুন পর্যন্ত মামলা হয়েছে ১৫০০টির মতো।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিচারপ্রার্থীরা আর্থিকভাবে সাবলম্বী কম হওয়ায় মামলায় জড়িত হচ্ছে না। এছাড়া থানা থেকে আসামি ধরার পরে তা ভ্রাম্যমাণ আদালতে চালান দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এতে করে ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও নির্বাহী আদালতে নতুন মামলা খুবই সীমিত আকারে হচ্ছে।
ঢাকার ২৮ নং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. পারভেজ জানান, আগের মত আর আদালতে মামলা নেই। কাজ খুবই কম। মাঝে মধ্যে আদালতে চেক ডিজঅনারের ২/১টা মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া পুরাতন কিছু মামলার বিচার চলছে।
অন্যদিকে সিএমএম আদালতের অনুলিপি শাখার কর্মকর্তা শাকিলুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে আদালতে মামলা কমে যাওয়ায় অনুলিপি শাখার কাজও কমে গেছে। আগের মত আদালতে মামলা নেই। মামলা থাকলে আমাদের কাজও বেড়ে যায়।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রনপ কুমার ভক্ত জানান, আগে আদালতে থানা থেকে প্রতিদিন মামলা আসতো। কিন্তু বর্তমানে সপ্তাহে দুই দিন ‘একটি, দুটি’ করে মামলা আসে। কাজ খুবই কম। আদালতে নতুন মামলার সংখ্যা অনেককাংশে কমে যাচ্ছে। প্রায়ই অলস সময় কাটাতে হয়।
ঢাকা বারের আইনজীবী রুবেল হোসেন জানান, তিনি এ বছরের ৬ মাসে মাত্র দুটি নতুন মামলা পেয়েছেন। আদালতে মামলার সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
তিনি বলেন, আর্থিক দিক দিয়ে খ্বু খারাপ অবস্থায় আছি। সব মামলা ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়ায় এ আদালতে আর নতুন কোন মামলা আসছে না।
একই ধরনের বক্তব্য ঢাকার আদালত পাড়ার একাধিক আইনজীবীর।