খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১১ জুন ২০১৬: ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের জন্য ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে মোট ৪৪৭টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব সুপারিশের মধ্যে মাত্র ৫৩টি বাজেটে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ৩৯৪টি সুপারিশই উপেক্ষা করা হয়েছে। আর এ জন্য ‘লজ্জাবোধ’ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ।
শনিবার (১১ জুন) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের জন্য মূল্য সংযোজন কর, আমদানি শুল্ক ও আয়কর এই তিন খাতে ৪৪৭টি প্রস্তাব করেছিল এফবিসিসিআই। এরমধ্যে বাজেট ঘোষণায় ৫৩টি বা ১১.৮৫ শতাংশ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এতো অল্পসংখ্যক সুপারিশ বিবেচনায় নেওয়া জন্য এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি লজ্জাবোধ করছি।
আগামীতে এনবি আরের সঙ্গে বাজেট আলোচনায় যাব কি না-তা ভেবে দেখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ৪ মাসে বাজেটের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবি আর) সঙ্গে প্রায় ২-৩ ডজন মিটিং করেছি। অথচ খুব অল্পই বিবেচনা নেওয়া হয়েছে। ৪ মাসের শ্রমই বৃথা গেল। চূড়ান্ত বাজেটে এফবিসিআইয়ের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
মাতলুব আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীরা কর প্রদান করতে চায়। তবে এ জন্য কর প্রদান সহজীকরণ ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। কর প্রদানে যোগ্য লাখ লাখ মানুষ থাকলেও তারা করের আওতার বাহিরে রয়েছে। করযোগ্য লোকদেরকে করের আওতায় না এনে যারা কর দেয় তাদের কাছ থেকে কর সংগ্রহ বাড়ানো হচ্ছে, এটা ঠিক না।
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, পরিচালক হাবিবুল্লাহ ডনসহ পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।