খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১১ জুন ২০১৬: জাহাঙ্গীর আলম,কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দেবর ভাবীকে নির্মমভাবে শারিরীক নির্যাতন চালিয়ে এক পর্যায়ে গলায় রশি পেঁছিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতশুক্রবার বিকেলে উপজেলার ভাঙ্গামোর ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ী গ্রামে ।
এলাকাবাসীসূত্রে জানাযায়, আরজিনার স্বামী সাইদুল হক একজন দিনমজুর আয় রোজগারের জন্য প্রায় সময়ই ঢাকায় থাকেন। তিনি বাড়ির পাশের ছোট্ট এক টুকরা জমিতে কিছু ফলের গাছ লাগিয়েছেন। আর এই ফলের গাছের ডালপালা আপন দেবর মফিজুল ইসলামের পরিবারের লোকজন প্রায়ই ভেঙ্গে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় আরও দুই বার গ্রাম্য সালিস-বৈঠক হয়।
উল্লেখ্য যে, গতশুক্রবার মফিজুল ইসলামের সন্তান গাছের বাগানে খেলতে এসে ডাল ভাঙ্গলে সাইদুলের ছেলেকে রোজিনা খাতুন বাঁধা প্রদান করে। এতে দুজনের মাঝে ঝগড়ার সৃষ্টি হলে মফিজুল ইসলাম এসে চড়-থাপ্পর ও হাত মুচড়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত আর্জিনা বেগম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারা আমার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া মেয়ে রোজিনাকে মারপিট করে আহত করে । মেয়ের আত্মচিৎকারে আমি এগিয়ে আসলে আমাকেও তারা চুলের মুঠি ধরে বেধম মারপিট করে টানা-হিচড়া করে এসময় মফিজুলের ভাই লোকমান হোসেন উপর্যপরিভাবে মারতে থাকে এবং আমাকে বিবস্ত্র করে তাদের বাড়ীতে নিয়ে গেলে মফিজুলের স্ত্রী নুরনাহারসহ আমার গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে তখন আমি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অচেতন হলে এলাকাবাসী লোকজন এসে আমাকে রক্ষা করে। পরে এলাকাবাসী আমাকে অচেতন অবস্থায় দ্রুত ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এতে আমার গলা ও ঘারে মারাত্মকভাবে জখম হয়।
এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানায় আরজিনা বাদী হয়ে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন এ রিপোট লেখা পর্যন্ত পুলিশের ঘটনাটির তদন্ত অব্যাহত ছিল।