খোলা বাজার২৪, রোববার, ১২ জুন ২০১৬: বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামিকে আগামী ২৪ জুলাই আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার দুই নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হোসনে আরা বেগম রোববার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ওই দিন খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালত থেকে মামলার কার্যক্রম স্থগিত আদেশ দাখিলের জন্য নির্দেশও দেন বিচারক।
অসুস্থতাজনিত কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার পক্ষে রোববার সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ । আদালত খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামির সংখ্যা ছিল ১৩ জন । কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১১ জন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এমকে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক।
১১ আসামির মধ্যে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ছাড়া বাকি আসামিরা জামিনে আছেন।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ করা হয় মামলাটিতে।