খোলা বাজার২৪, রোববার, ১২ জুন ২০১৬: উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করেছে হাই কোর্ট।
সেই সেঙ্গ এই সংসদ সদস্যকে ২০ জুনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।
মামলা হওয়ার নয় দিন পর ঢাকায় উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিনের এই আবেদন করেছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ মোস্তাফিজ। তার পক্ষে শুনানি করেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।
তিনি বলেন, “আদালত আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।”
নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ২০০২-০৬ সাল মেয়াদে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য ছিলেন। নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ২০০২-০৬ সাল মেয়াদে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য ছিলেন। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম গত ৩ জুন বাঁশখালী থানায় সাংসদ মুস্তাফিজের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেন।
তার অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘ফর্দ অনুযায়ী’ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ‘নিয়োগ না দেওয়ায়’ ১ জুন ওই সাংসদ ও তার লোকজন ইউএনও কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তাকে মারধর করেন।
গত এপ্রিলে বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর আলোচনায় আসা এমপি মোস্তাফিজ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা ওই নির্বাচন কর্মকর্তার দিকে ‘তেড়ে গিয়েছিল’ শুধু; নির্বাচনী কর্মকর্তা জাহিদুল ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সহানুভূতি পেতে’ ঘটনাকে ‘অতিরঞ্জিত’ করেছেন।
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা জাহিদুলকে ‘দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টতারও অভিযোগ এনেছেন আওয়ামী লীগের এই এমপি।