খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৩ জুন ২০১৬: মিয়ানমারের গণতন্ত্রী নেত্রী অংসান সু চি অবশেষে ২৯০ কি.মি দীর্ঘ বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ শেষ করা, বিশেষ করে ৬৪ কি.মি দীর্ঘ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত আরকানের সঙ্গে চট্টগ্রামের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের দিকে নজর দিলেন। সু চির নির্দেশ এই কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার বলেছে, অর্থ সংকটের কারণে পশ্চিম রাখাইন প্রদেশের বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ স্থগিত ছিল। কিন্তু অংসান সু চি বলেছেন- এটা ফেলে রাখা যাবে না।
প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ের উপ-মহাপরিচালক মি. জ তে বলেছেন, পূর্ববর্তী সরকার এই খাতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৫.৯ মিলিয়ন ডলারের যে বাজেট চূড়ান্ত করেছিলেন তা এখন পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর এতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাবিত বরাদ্দ হ্রাস বা তা থেকে কর্তন করা হয়নি। সুতরাং বেড়া নির্মাণের প্রকল্প এখন দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। মি. তে-র কথায়, সকল সরকারকে সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে অবশ্যই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ২০০৯ সালে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু হলেও চার ধাপে তা ২০১৫ সালে এসে থমকে যায়। বিশেষ করে ২০১৬-১৭ সালের বাজেটে ৬৪ কি.মি দীর্ঘ রাখাইন সীমান্তে বেড়া নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
২০১৩ সালে বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যকার এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ৫৭ মুসলিম ও ৩১ বৌদ্ধ নিহত হয়। এক লাখ লোক বাস্তুচ্যুত এবং আড়াই হাজার বাড়ি পুড়ে যায়। ভস্মীভূত বাড়ির বেশিরভাগই রোহিঙ্গাদের।
তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সিকে শুক্রবার রাখাইন বৌদ্ধ গ্রাম অ্যাথেট পু মা-এর এক বাসিন্দা বলেছেন, সীমান্ত পাড়ি দেয়ার মতো সহজ কাজ আর হয় না। তার কথায়, যদিও বেশির ভাগ স্থানে কাঁটাতারের বেড়া আছে এবং নাফ নদী দুই দেশের সীমান্ত নদী হিসেবে বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে যখন খুশি তখনই চলে যাওয়া যায়। এবং আসাও যায়। আমি বহুবার দেখেছি, কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে অনেক বাঙালি অবাধে যাতায়াত করছে।
তুরস্কের সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়, বাঙালি শব্দটির ব্যবহার এখানে গুরুত্বহীন নয়। রোহিঙ্গাদের তারা বাঙালি বলে।